নব্যেন্দু হাজরা: আশ্বাসই সার। ফেব্রুয়ারি শেষ হলেও নিউ গড়িয়া-রুবি রুটে যাত্রীপরিষেবা শুরুর দিনক্ষণ এখনও ঠিক হল না। প্রথমে ঠিক ছিল গত বছর দীপাবলির উপহার হিসাবে শহরবাসীর জন্য এই রুট চালু করা হবে। মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার অরুণ আরোরা সাংবাদিক সম্মেলন করে সেকথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু দীপাবলি পার করে গেলেও মেট্রো চালু হয়নি। তারপর ঠিক হয়, ডিসেম্বরের শেষে নতুন বছরের উপহার হিসাবে জোকা-তারাতলার সঙ্গেই খুলে যাবে এই রুট। কিন্তু তাও হয়নি। আর সবশেষে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির লাইন পরিদর্শনের পর বলা হয়েছিল ফেব্রুয়ারিতে অন্তত অরেঞ্জ লাইন খুলে যাবে যাত্রীদের জন্য। কিন্তু তাও হল না।
এককথায় তিনটি ডেডলাইন ফেল করল এই রুট। যাত্রীদের দাবি, কবে থেকেই তো শুনছি এই রুটে মেট্রো চলা শুরু হবে। কিন্তু কোথায় কী! দিনক্ষণ তো কিছুই জানতে পারছি না। তবে মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, ট্রেন চালানোর জন্য তাঁরা সবদিক থেকে প্রস্তুত। রেলবোর্ডের গ্রিন সিগন্যাল এলেই যাত্রী নিয়ে মেট্রো ছোটা শুরু হবে। তবে কতক্ষণ অন্তর মেট্রো চলবে, পরিষেবার সময়ই বা কী হবে, ভাড়া কত হবে ইত্যাদি কোনও বিষয়েই মেট্রোর তরফে কিছু জানানো হয়নি।
[আরও পড়ুন: ‘পিচ নিয়ে ভারত যা করেছে, বেশ করেছে’, সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক ক্লার্ক]
তবে এই রুটেও জোকা-তারাতলার মতো একটি মেট্রোই যাতায়াত করবে। সিগন্যালিং সিস্টেমও এখনও বসানো হয়নি। ফলে দুই মেট্রোর ব্যবধানও অন্তত আধ ঘণ্টা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। রেলওয়ে সেফটি কমিশনার শুভময় মিত্র চলতি বছরের জানুয়ারিতেই এই লাইন পরিদর্শন করেন। পরিদরর্শনের আট দিনের মাথাতেই ছাড়পত্র দিয়ে দেন তিনি। তবে কিছুক্ষেত্রে তাঁর মতামত জানান এবং একাধিক জরুরি কাজ শেষ করতে বলেন। সেই কাজগুলো সেরে তার রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা কর্তৃপক্ষের। সূত্রের খবর, সেই কাজ শেষের পর রিপোর্ট এখনও জমা পড়েনি।
চলতি সপ্তাহেই তা জমা পড়ার কথা। তা পড়লে সিআরএস দেখবে। এবং সবকিছু ঠিক থাকলে রেলবোর্ড উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঠিক করবে। এই রুটে স্টেশন থাকছে ৫টি। নিউ গড়িয়া হচ্ছে কানেক্টিং স্টেশন। এই স্টেশনে নেমে যাত্রীরা আবার কবি সুভাষ-দক্ষিণেশ্বরগামী মেট্রোয় উঠতে পারবেন। ফলে এই রুট চালু হলে বহু মানুষের উপকার হবে। কিন্তু কবে এই রুট চালু হবে, তা এখনও নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না মেট্রো কর্তৃপক্ষ। মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “যাত্রী নিয়ে মেট্রো চালানোর জন্য আমরা সবদিক থেকে প্রস্তুত আছি। রেলবোর্ডের সবুজ সংকেত পেলেই তা শুরু হয়ে যাবে।”