সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগে থেকেই সম্ভাবনা ছিল। আম আদমি পার্টির নেতারা বলছিলেন, যে কোনও সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। অবশেষে বৃহস্পতিবাসরীয় সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর গ্রেপ্তারিতে প্রশ্ন উঠছে, এটাই কি আপের শেষের শুরু? সেই সঙ্গে উঠছে আরও কিছু প্রশ্ন।
ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এই প্রশ্নের উত্তর এখনই পাওয়া মুশকিল। মনে রাখতে হবে, আপের জন্মই কিন্তু হয়েছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে। কংগ্রেস ও বিজেপির (BJP) পরে তারাই একমাত্র দল, যাদের একের বেশি রাজ্যে সরকার রয়েছে। এদিকে গুজরাট, গোয়া ও হরিয়ানাতেও ডালপালা বিস্তার করেছে দলটি। আগামী দিনে কংগ্রেসকে সরিয়ে তারাই প্রধান বিরোধী দল হতে চলেছে, এই সম্ভাবনা ক্রমেই জোরালো হচ্ছিল। কিন্তু কেজরির গ্রেপ্তারিতে প্রশ্ন উঠছে, এবার কি ছবিটা আমূল বদলে যাবে? যে উত্তর পেতে হলে আরও একটু অপেক্ষা করতেই হবে। তাহলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে কেজরির গ্রেপ্তারি কতটা প্রভাব ফেলছে দলে। ইতিমধ্যেই আপ কর্মীরা জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা চান জেল থেকেই তাঁদের নেতৃত্ব দিন ‘মাফলার ম্যান’।
[আরও পড়ুন: শিক্ষায় ধর্মীয় বিভেদ কেন, উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসা আইন নিয়ে বড় রায় হাই কোর্টের]
তবে সেটা কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। জেলবন্দি কেজরির (Arvind Kejrwal) ইমেজ যে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে না তা কে বলতে পারে। তাছাড়া এখনও তিনি বিচারাধীন হলেও শেষ পর্যন্ত তাঁকে সাজা শোনানো হলে কিন্তু মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হতে পারে। তাছাড়া তার আগেই রাজ্যপাল হয়তো সরিয়ে দিতেই পারেন কেজরিওয়ালকে। এমনিতেই তাঁর সঙ্গে আপের সম্পর্ক মোটেই ‘মধুর’ নয়। ফলে এই সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে কে হবেন পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী, তা দেখার।
আর একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। কেজরির গ্রেপ্তারি কি আপের জন্য আমজনতার মনে সমবেদনার ঝড় তুলতে পারে। দিল্লি ও পাঞ্জাবের বাইরে আম আদমি পার্টির (AAP) সমর্থন সেই অর্থে নেই বললেই চলে। ফলে খুব বেশি ভোটারদের মনে এই কেজরির গ্রেপ্তারি প্রভাব ফেলতে পারবে না বলেই মনে হয়। আবার অন্যদিকে এই প্রশ্নও রয়েছে, বিজেপি এই ঘটনার ফলে কোনও ধাক্কা খাবে কিনা। সেই সম্ভাবনা অবশ্য উড়িয়ে দিচ্ছে না ওয়াকিবহাল মহল। অনেকেই একে বিরোধীদের দমিয়ে রাখার কৌশল ভাবতে পারেন। তা থেকে কিছু ভোটার সরেও আসতে পারেন। তবে এই মুহূর্তে প্রবল বিজেপি হাওয়ায় তাঁদের সংখ্যা যে মুষ্টিমেয়ই হবে তাতে নিশ্চিত সংশ্লিষ্ট মহল।