অর্ণব আইচ: জুনিয়র চিকিৎসকের নৃশংস মৃত্যুর নেপথ্যে একা সঞ্জয়, নাকি জড়িয়ে রয়েছে আরও অনেকে। তা খুঁজতে তদন্ত আরও জোরদার করল কলকাতা পুলিশ। সেই লক্ষে সিটের সদস্য সংখ্যা ৭ থেকে একধাক্কায় বাড়িয়ে করা হল ১৬৪। কাজ চলবে তিন শিফটে। খতিয়ে দেখা হবে আর জি কর হাসপাতালের গত তিরিশ দিনের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ। লক্ষ্য একটাই, কার কার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল সঞ্জয়ের? কাদের সঙ্গে মিশত সে? সেটাই খুঁজে বের করতে চাইছেন তদন্তকারী। তাহলেই জুনিয়র চিকিৎসক ধর্ষণ-হত্যা রহস্যের সমাধান সহজ হবে বলে মনে করছে তারা।
পুলিশকে তদন্ত শেষ করার জন্য সাতদিনের ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাহলে তদন্ত সিবিআইকে হস্তান্তরিত করা হতে পারে। এর পর তদন্তের গতি আরও বাড়াতে তৎপর কলকাতা পুলিশ। আর জি করে জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার কিনারা করতে ৭ সদস্যের সিট গড়া হয়েছিল। একধাক্কায় সেই সদস্য সংখ্যা বেড়ে হল ১৬৪। যুক্ত হলেন ডিসি প্রথম ব্যাটেলিয়ান অমিত ভার্মা সহ আরও ৫ জন। রয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার। এছাড়াও প্রতি শিফটে ৫০ জন করে পুলিশ অফিসারকে নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা দিনে তিন শিফটে কাজ করবেন।
[আরও পড়ুন: ‘উত্তেজনার বশে করে ফেলেছি!’, তরুণী চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডে ‘নির্বিকার’ ধৃত সঞ্জয়]
তদন্তকারীদের মূল কাজ, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা। সেখান থেকে খুঁজে বের করা হাসপাতালে সঞ্জনের ঘনিষ্ঠ কারা ছিলেন? কাদের সঙ্গে মিশত সে? ঘটনার দিন সে কার কার সঙ্গে দেখা করেছিল? অভিযোগ উঠছে, ধর্ষণ-খুনের নেপথ্যে একা সঞ্জয় নয়, জড়িয়ে রয়েছে আরও কেউ। তরুণী চিকিৎসকের গায়ে অজস্র আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে খবর। মাত্র আধঘণ্টার মধ্যে একজন এত কাণ্ড ঘটাতে পারে বলে মানতে চাইছে না অনেকেই। সেক্ষেত্রে পুরো বিষয়টির সঙ্গে অন্য কেউ যুক্ত কিনা তা খতিয়ে দেখতে চাইছে পুলিশও। সেই সূত্র ঘরে ইতিমধ্যে ৭ জন ডাক্তার ও ইন্টার্নকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আরও কয়েকজনকে ডাকা হতে পারে বলে সূত্রের দাবি।