অর্ণব আইচ: আর জি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় একাধিককে চিহ্নিত করে সোশাল মিডিয়ায় ছবি প্রকাশ করেছিল কলকাতা পুলিশ। আমজনতার কাছে আর্জি ছিল, অভিযুক্তদের মধ্যে পরিচিত কেউ থাকলে অবিলম্বে তাঁর তথ্য স্থানীয় থানায় বা লালবাজারে জানানোর। সেই পদ্ধতিই কাজে এল। আমজনতার থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫ জনকে। ফলে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় মোট ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুতে (RG Kar Doctor Death) উত্তাল গোটা রাজ্য। প্রতিবাদের আগুন জ্বলে উঠেছে মশালের মতো। এই কাণ্ডের বিচার চেয়ে রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতি পালন করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। বিচারের দাবিতে বুধবার রাতে রাজ্যজুড়ে পথে নেমেছিলেন মহিলারাও। সেই প্রতিবাদ কর্মসূচি চলাকালীনই গভীর রাতে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে আর জি কর হাসপাতাল। কার্যত বহিরাগতদের দখলে চলে যায় মেডিক্যাল কলেজের ক্যাম্পাস। আচমকাই জরুরি বিভাগে ঢুকে পড়ে একদল বহিরাগত। জরুরি বিভাগে ঢোকার আগে কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়া জুনিয়রদের বেধড়ক মারধর করা হয়। এমনকী পুলিশের দিকেও তেড়ে যায় এই ‘বাহিনী’। আক্রান্ত হন একাধিক পুলিশ আধিকারিক।
[আরও পড়ুন: শরীর স্পর্শ করতেই চিৎকার, বারণ না শোনায় তরুণীর মাথা ঠুকে দিই! পুলিশকে জানায় সঞ্জয়]
এই ঘটনার পরদিন সকালে কলকাতা পুলিশের তরফে ফেসবুকে প্রায় ৬০ টি ছবি পোস্ট করা হয়। সেখানে একাধিককে চিহ্নিত করা ছিল। অভিযোগ, বুধবার রাতের তাণ্ডবে জড়িত তারাই। ওই চিহ্নিত করা যুবক-যুবতীরা যদি কারও চেনা-পরিচিত হয়ে থাকে তবে তার হদিশ অবিলম্বে পুলিশকে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেই পোস্টেই মিলল সুফল। ছবি দেখে আমজনতার তরফে ৫ জনকে শনাক্ত করে পুলিশে জানানো হয়। পরবর্তীতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।