shono
Advertisement

‘কারখানার ধোঁয়াই ধোঁয়া’ মন্তব্যে মিমের বন্যা, ‘হাইভোল্টেজ’ জবাব রচনার, কী বললেন?

কী বললেন তৃণমূলের তারকাপ্রার্থী?
Posted: 05:54 PM Mar 23, 2024Updated: 05:55 PM Mar 23, 2024

সুমন করাতি, হুগলি: রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rachana banerjee) ‘ধোঁয়াই ধোঁয়া’ মন্তব্যে ছেয়ে গিয়েছে সোশাল মিডিয়া। তৃণমূলের তারকা প্রার্থীকে নিয়ে কম কটাক্ষ চলছে না! নেটপাড়ায় ট্রোল-মিমের পাহাড়। এবার সেই প্রেক্ষিতেই রচনার সাফ জবাব, “মিম তো নেগেটিভ নয়, মজার জিনিস।”

Advertisement

সম্প্রতি সিঙ্গুরে প্রচারে গিয়ে ঠিক কী বলেছিলেন বাংলা টেলিভিশনের ‘দিদি নম্বর ওয়ান’? সাংবাদিকের প্রশ্নে রচনা জানান, “আমি যখন এলাম দেখলাম অনেক কারখানা হয়েছে। চিমনি থেকে শুধু ধোঁয়াই ধোঁয়া, রাস্তাঘাট অন্ধকার। শুধু ধোঁয়া বেরোচ্ছে। এত কারখানা হয়েছে, তাহলে কী করে বলছেন কারখানা হয়নি? শিল্প হয়েছে আরও হবে।” ব্যস, এই মন্তব্যের পরই নেটপাড়ায় দেদার ট্রোলড হতে হয় রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবার হুগলির সেই হাইভোল্টেজ কেন্দ্র সিঙ্গুরে গিয়েই ‘ধোঁয়াই ধোঁয়া’ মিমের জবাব দিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃণমূলের তারকা প্রার্থীর কণ্ঠে যেন একরাশ উচ্ছ্বাস ঝরে পড়ল! খানিক ব্যাঙ্গাত্মক সুরেই রচনার মন্তব্য, “মিমগুলো দারুণ বানানো হয়েছে। যারা বানায় তাদের হ্যাটস অফ! তার মধ্যে প্রসেনজিৎও গান গাইছে দেখলাম। সিঙ্গুরে এর আগেও বহুবার এসেছি। রাস্তা দিয়ে দিনের বেলা আসতে আসতেই দেখেছিলাম চারদিক ধোঁয়ায় ধোঁয়া। সেটা বললাম বলে কী দারুণ সব মিম তৈরি হয়ে গেল। বাপ রে বাপ! যেরকমই পাবলিসিটি হোক না কেন, সেটা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য ভালো। মিম তো নেগেটিভ নয়, মজার জিনিস। নেগেটিভ কিছু আমি বলি না।”

[আরও পড়ুন: বর্ধমান থেকে সাইকেল চালিয়ে কলকাতায় অঙ্কুশের ভক্ত, কী আবদার ‘মির্জা’র দরবারে?]

রচনার সেই ‘ধোঁয়াই ধোঁয়া’ মন্তব্য অনেকেই ভালো চোখে দেখেননি। বিশেষ করে বিরোধী শিবিরপক্ষ ঝাঁপিয়ে পড়েছে ট্রোল করতে। কটাক্ষের সুরে নেটিজেনদের একাংশ রচনাকে বলেছেন, ‘দিদি গো ওটা তোমার দিদি নম্বর ১-এর চিমনির ধোঁয়া।’ অনেকে আবার মন্তব্য করেন, ‘নিশ্চয়ই নেশা করেছিলেন রচনা।’ তবে রচনা কিন্তু এসব নেতিবাচক মন্তব্যে কর্ণপাত করতে নারাজ।

শনিবার সিঙ্গুরে দলীয় কর্মীদের মাটির বাড়িতে বসে সাদামাটা মধ্যাহ্নভোজ সারলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিনেত্রী সঞ্চালিকার মন্তব্য, মাটিতে বসে প্রথমবার খেলাম। এত আপ্যায়ণ করলেন সবাই, খুব ভালো লাগল। খাবারগুলোও দারুণ। বড়ি ভাজা, সজনে ডাঁটা, কাঁচালঙ্কা, টক দই আমার সব প্রিয় পদ। বিশেষ করে সিঙ্গুরের টক দইটা দারুণ। কিন্তু ওঁরা এত কষ্ট করে থাকেন, দেখে খুব খারাপ লাগছে। কেন্দ্রের আবাসন প্রকল্পের টাকা বন্ধ হওয়াতেই দুস্থ মানুষদের এত দুর্ভোগ। আমি পার্লামেন্টে গেলে ওঁদের কথা বলব।”

[আরও পড়ুন: যিশুকে চায়ের আমন্ত্রণ মমতার, টলিউডের ভারতজয়ের উদযাপন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement