সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হামাস জঙ্গিদের খতম করতে গোটা গাজা ভূখণ্ড তোলপাড় করছে ইজরায়েলি ফৌজ। উত্তর গাজা গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর এবার তীব্র আক্রমণ চলছে দক্ষিণে। পাশাপাশি আঘাত হানা হচ্ছে রাফায়। মিশর সীমান্তবর্তী এই শহরই সাধারণ মানুষের শেষ আশ্রয়। কিন্তু এবার আর পালানোর পথ নেই। ইজরায়েলের হামলা, অনাহার, রোগব্যাধিতে কার্যত কোনঠাসা হয়ে গিয়েছে শহরটি। আগামিদিনে রাফায় ইহুদি দেশটির অভিযানের ভয়ংকর পরিণতি নিয়ে আতঙ্কের প্রহর গুনছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
আল জাজিরা সূত্রে খবর, রাফা শহরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ত্রাণ সরবরাহকারী সংগঠনগুলো। ইজরায়েলের হামলা থেকে বাঁচতে এই শহরে আশ্রয় নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। কিন্তু এবার হামাস জঙ্গিদের নিঃশেষ করতে এখানেও আক্রমণ শানাচ্ছে ইজরায়েলি ফৌজ। অনাহারে ভুগছেন মানুষ। বাড়ছে নানা রোগের প্রকোপ। এহেন পরিস্থিতিতে ত্রাণ সংস্থা মেডেসিনস সানস ফ্রন্টিয়েরস সতর্ক করে বলেছে, রাফায় প্রায় ১৪ লক্ষ মানুষের জীবন অনিশ্চিত। আর পালানোর পথ নেই। এদিকে হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের অগ্রগতি হচ্ছে না ইজরায়েলের জন্যই।
[আরও পড়ুন: পারিবারিক বিবাদের জেরে পরিবারের ১২ জনকে গুলি করে খুন! ভয়ংকর হত্যাকাণ্ড ইরানে]
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ঘুমের মধ্যেই ৩৭ প্যালেস্তিনীয়র প্রাণ কেড়েছিল ইজরায়েলি সেনার সাঁড়াশি হানা। ইজরায়েল যখন হামলা চালায় তখন ঘুমিয়ে ছিলেন সকলেই। রাফায় ইজরায়েলি সেনার অভিযান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে বিশেষ অনুরোধ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বলেছিলেন, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করে রাফায় যেন ইজরায়েল হামলা না চালায়। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় রাফা আসলে আমজনতার শেষ আশ্রয়। সেখানে হামলার আগে নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।