দীপাঞ্জন মণ্ডল, দিল্লি: রাফালে মামলার রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি এসকে কল ও কেএম যোসেফের তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ রাফালে মামলার রায় পুনর্বিবেচনা করা হবে না বলেই জানিয়ে দিল। এই আবেদনের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই বলেই রায় পুনর্বিবেচনা করার বিষয়টিতে তাঁরা গুরুত্ব দিচ্ছেন না বলেও উল্লেখ করেন।
[আরও পড়ুন: শবরীমালায় মহিলাদের ভাগ্য ঝুলে সুপ্রিম কোর্টে, মামলা গেল বৃহত্তর সাংবিধানিক বেঞ্চে]
এর পাশাপাশি এই মামলার রায়কে বিকৃতভাবে জনসমক্ষে প্রচার করার জন্য প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে সর্তকও করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত। রাফালে মামলার রায় বেরোনোর পর বিভিন্ন জনসভায় গিয়ে এই রায়ের ভুল ব্যাখ্যা করার অভিযোগ ওঠে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেকে দেশের চৌকিদার হিসেবে চিহ্নিত করেন। এরপর তাঁকে কটাক্ষ করে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ বলে সোগ্লান তোলেন রাহুল। রাফালে মামলার রায় বেরোনোর পরেও বলেন, ‘চৌকিদার চোর এটা আজ আদালতও মেনে নিল।’ তাঁর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মানহানির মামলা করেন বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষী লেখি।
[আরও পড়ুন: অয্যোধ্যায় মসজিদ তৈরির জন্য এই জমিই দিতে হবে, সুর চড়ালেন মুসলিম নেতারা]
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে রাহুল গান্ধীকে সর্তক করে। বলে, মিস্টার রাহুল গান্ধী ভবিষ্যতে মন্তব্য করার বিষয়ে আপনাকে আরও সর্তক থাকতে হবে। তবে এর পাশাপাশি তাঁ বিরুদ্ধে হওয়া মামলাটিও খারিজ করে দেয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাফালে মামলায় কার্যত ‘ক্লিন চিট’ দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় সরকারকে। কিন্তু, সেই রায় পুর্নর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে একগুচ্ছ রিভিউ পিটিশন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। আবেদনকারীদের মধ্যে ছিলেন যশোবন্ত সিনহা ও অরুণ শৌরির মতো প্রাক্তন মন্ত্রী থেকে শুরু করে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণও। দাবি করা হয়, কিছু তথ্য আদালতের থেকে গোপন করা হয়েছে। সরকারের পালটা যুক্তি ছিল, ওই তথ্যগুলিকে আদালত মান্যতা দিতে পারে না। কারণ সেগুলি নিয়ম ভেঙে প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। আর অবৈধ ভাবে ফটোকপি করা হয়েছে।
The post রাফালে মামলার রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে appeared first on Sangbad Pratidin.