অভিরূপ দাস: বেআইনি বিদ্যুৎ সংযোগ। তাতেই চলছে ফ্রিজ, টিভি এমনকি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রও! কাগজ কুড়ানিদের ঘরে এমন ছবি দেখে তাজ্জব মেয়র পারিষদ (বিদ্যুৎ) সন্দীপরঞ্জন বক্সি।
মধ্য কলকাতায় পুরসভার ৫১ নম্বর ওয়ার্ডে রাস্তার ওপরে সংসার পেতেছে কাগজ কুড়ানিরা। অভিযোগ, টিনের ঘর বানিয়ে, বাঁশের উপর বেআইনিভাবে সুইচ বোর্ড লাগিয়ে তাতে দিব্যি চলছে ফ্রিজ, টিভি। এ ধরণের বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে যে কোনও মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। খবর পাওয়া মাত্রই তা খুলতে নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র পারিষদ সন্দীপরঞ্জন বক্সি। গোটা কলকাতা জুড়েই কাগজ কুড়ানিরা নানান জায়গায় জবর দখল করে সংসার পেতেছেন। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন খোদ কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
[আরও পড়ুন: সন্তান চেয়েছিল হামাস জঙ্গি! বন্দিদশার গল্প শোনালেন ইজরায়েলি তরুণী]
এদিন কলকাতা পুরসভার বর্ষা বৈঠকে দেখা গেল, কাগজ কুড়ানিদের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের কারণে গোটা শহরে যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। একাধিক এলাকায় লাইটপোস্ট থেকে বিদ্যুৎ চুরি করে সংসার পেতেছে কাগজ কুড়ানিরা। লাইটপোস্ট থেকে বিপজ্জনকভাবে বিদ্যুৎ চুরি করে তাঁরা ঝুপড়িতে টিভি, ফ্রিজ চালাচ্ছেন। বিদ্যুৎ চুরি করার পর বেরিয়ে থাকা তারই বর্ষায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ। এদিন মেয়র ফিরহাদ হাকিম নির্দেশ দিয়েছেন, বর্ষা আসার আগে শহরের সমস্ত লাইটপোস্ট, ইলেকট্রিক বক্স খতিয়ে দেখতে হবে। ফিরহাদ জানিয়েছেন, কোনও জায়গায় খোলা ইলেকট্রিক বক্স কিম্বা ভাঙাচোরা বিপজ্জনক লাইটপোস্ট থাকলে তা অবিলম্বে বদলে দিতে হবে।
তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে কলকাতায়। তারই মধ্যে বর্ষা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছিল কলকাতা পুরসভা। এদিন বর্ষা বৈঠকে সমস্ত বিভাগের মেয়র পারিষদ ছাড়াও হাজির ছিলেন কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার শুভঙ্কর সিনহা সরকার, দমকল বিভাগের আধিকারিক, সিইএসসি প্রতিনিধিরা। বেলেঘাটা জল জমার সমস্যা মেটাতে নিকাশি নালা থেকে পলি তোলা হবে। তার জন্য যানবাহন নিয়ন্ত্রণে কলকাতা পুলিশের সাহায্য চেয়েছে পুরসভা। এদিন বৈঠকে এইচআরবিসি কর্তৃপক্ষকে ধমক দেন মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। দেখা গিয়েছে শহরের একাধিক উড়ালপুল অন্ধকারে ডুবে।
[আরও পড়ুন: পরিচিতর ডাকে সাড়া, পার্ক স্ট্রিটের নামী হোটেলে গিয়ে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা ব্যবসায়ীর]
দেবাশিস কুমারের প্রশ্ন, এজেসি বোস ফ্লাইওভার, গড়িয়াহাট উড়ালপুলের আলো মাঝেমধ্যেই বন্ধ থাকছে কেন? বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখুন। অভিযোগ উঠছে কেইআইআইপি-র কাজ নিয়েও। বোরো চেয়ারম্যান রত্না শুর জানিয়েছেন, কেইআইআইপি হরিদেবপুরে পুরনো পাইপ বদলে তা ফেলে রেখেছে রাস্তার ওপর। এতে সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম এদিন কমিশনার ধবল জৈনকে নির্দেশ দিয়েছেন, একটা সার্কুলার তৈরি করুন। পুরনো পাইপ বদলে তা রাস্তায় ফেলে রাখা যাবে না। সরিয়ে নিয়ে গিয়ে তা ফেলতে হবে পুরসভার নির্মাণ বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের প্ল্যান্টে।