স্টাফ রিপোর্টার: ইডেনের পিচকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে ভোরেই শহর ছাড়লেন ভারতীয় কোচ রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid)। সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলতে ভারতীয় দল তিরুঅনন্তপুরম উড়ে যাবে পৌনে বারোটার ফ্লাইটে। তবে দলের সঙ্গে যাচ্ছেন না দ্রাবিড়। শোনা গেল, তিনি হয়তো নিজের শহর বেঙ্গলুরুতে ফিরে যাচ্ছেন। তবে ঠিক কী কারণে দ্রাবিড় টিমের সঙ্গে যাচ্ছেন না, সেটা নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।
তবে শহরে আসার পর থেকেই রাহুলের শরীরটা ভাল যাচ্ছিল না। আগের রাতে টিম হোটেলে কিছু ওষুধ চেয়ে পাঠান রোহিত শর্মাদের (Rohit Sharma) হেডস্যর। শোনা যাচ্ছিল, আগের রাতে নাকি উচ্চরক্তচাপের সমস্যা ভুগিয়েছে তাঁকে। তবে ভারতীয় টিমের সঙ্গে যুক্ত কেউ কেউ এদিন বলছিলেন, সেরকম গুরুতর কিছু নয়। রাহুল দ্রাবিড় নিয়মিত যে সব ওষুধপত্র খান, সেটাই নাকি হোটেলে পাঠানো হয়েছিল। যদিও দ্রাবিড় পরে ম্যাচের আগে দলের সঙ্গে তিরুবনন্তপুরমে যোগ দেবেন কি না, সেটাও নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: লাগাতার প্রাণনাশের হুমকি ইসলামিক সংগঠনের, নূপুর শর্মাকে বন্দুক রাখার অনুমতি দিল্লি পুলিশের]
তবে শহর ছাড়ার আগে ইডেন (Eden Gardens) উইকেটের ভালরকম প্রশংসা করে যান দ্রাবিড়। গুয়াহাটির মতো রানের উইকেট ইডেনে ছিল না। বরং এখানকার উইকেট অনেক বেশি কম্পেটেটিভ ছিল। যেখানে বোলারদের জন্যও রসদ ছিল। ব্যাটাররাও উইকেট থাকলে যে রান আসবে, তার প্রমাণ লোকেশ রাহুলের ইনিংস। শোনা গেল ম্যাচ শেষে ইডেনের কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন দ্রাবিড়। এরকম একটা উইকেট তৈরি করার জন্য সুজনের প্রশংসাও করেন। দ্রাবিড় নাকি তাঁকে বলেন, ইদানীংকালে এরকম উইকেট তিনি দেশের মাঠে খুব একটা দেখেননি। ইডেনের পিচে সবকিছু ছিল। বোলাররা ভালরকম সাহায্য পেয়েছেন। ব্যাটারদেরও যে খুব অসুবিধে হয়েছে, সেটাও না। দ্রাবিড় এটাও বলেন যে সব পিচে সাড়ে তিনশো-চারশো হয়, সেটা ওয়ান ডে’র পক্ষে খুব একটা ভাল উইকেট নয়। কারণ সেখানে বোলারদের কিছুই করার থাকে না। বরং ইডেনের মতো উইকেটই দরকার। তাহলে ক্রিকেট অনেক বেশি প্রাণবন্ত হবে।
[আরও পড়ুন: প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শরদ যাদব, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর]
বৃহস্পতিবারের ইডেন অনেক কিছুর সাক্ষী হয়ে থাকল। ম্যাচ শেষে এক মিনিটের ভিডিও-য় প্রয়াত ফুটবল সম্রাট পেলেকে শ্রদ্ধা জানানো। তারপর লেজার-শো’র ঝলকানি। সবশেষে আবার দ্রাবিড়ের ইডেন-উইকেটকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে যাওয়া। একটা ওয়ানডে’তে এর বেশি প্রাপ্তি আর কী হতে পারে!