সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি চান নৌকোয় চড়ে সমুদ্রে যেতে। হাতেকলমে বুঝে নিতে চান কতটা প্রতিকূলতার মধ্যে, ঠিক কোন পরিস্থিতিতে কাজ করতে হয় মৎস্যজীবীদের। পুদুচেরিতে (Puducherry) বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে নিজের এমনই ইচ্ছার কথা জানালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সেই সঙ্গে নাম না করেই বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী মোদিকেও (PM Modi)। অভিযোগ করলেন, তিনি নিজেকে ‘রাজা’ মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী নন।
সভায় মৎস্যজীবীদের ‘সমুদ্রের কৃষক’ বলে অভিহিত করেন রাহুল। সেই সঙ্গে প্রশ্ন তোলেন, ”আমি মনে করি, কৃষকদের জন্য দিল্লিতে যদি আলাদা মন্ত্রক থাকে, তাহলে সমুদ্রের কৃষকদের জন্য আলাদা মন্ত্রক থাকবে না কেন?” রাহুলের এহেন দাবির বিরোধিতা করে পালটা কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা গিরিরাজ সিং। তাঁর কথায়, ”আমি অবাক হয়ে গেলাম এটা দেখে যে, একজন রাজনৈতিক নেতা এটা জানেনই না মৎস্য, দুগ্ধ ও পশুপালন নিয়ে একটি আলাদা মন্ত্রক রয়েছে। ২০১৯ সালে এই মন্ত্রকটি তৈরি করেন প্রধানমন্ত্রী। এবং আমি সেই মন্ত্রকেরই মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিই।” তাঁর এই মন্তব্যের পালটা জবাবে কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, ২০১৪ সালে বিজেপি কেবল মৎস্যজীবীদের জন্যই একটি পৃথক মন্ত্রকের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তা কার্যকর করা হয়নি।
[আরও পড়ুন: ইরান ও রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া ভারতীয় নৌসেনার, থাকছে চিনও]
মে মাসে বিধানসভা ভোট। তার আগেই কংগ্রেসের একাধিক বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ায় চাপে রয়েছে দল। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের সদ্য প্রাক্তন হওয়া উপরাজ্যপাল কিরণ বেদির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণস্বামীর সংঘাতের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বেঁধেন রাহুল। তাঁর অভিযোগ, উপরাজ্যপালের দপ্তরের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এই বার্তাই দিতে চেয়েছেন মৎস্যজীবীদের ভোটের কোনও গুরুত্বই নেই। এই প্রসঙ্গেই তিনি খোঁচা মারেন, ”একজন মনে করেন তিনি রাজা, প্রধানমন্ত্রী নন।”
দু’দিনের জন্য পুদুচেরিতে এসেছেন রাহুল। এক সরকারি মহিলা কলেজেও যান তিনি। সেখানে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন। এই সময়ই রাহুলের এক ভক্ত তরুণী এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। প্রিয় রাজনীতিবিদকে চোখের সামনে দেখে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। রাহুলও তাঁকে অটোগ্রাফ দেন। কিন্তু এতেই শেষ নয়। তরুণীর দাবি মেনে তাঁকে জড়িয়েও ধরেন কংগ্রেস নেতা।