সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মণিপুরের (Manipur) হিংসা বিধ্বস্ত এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হল না রাহুল গান্ধীকে। বৃহস্পতিবার মণিপুর পৌঁছেই চূড়াচাঁদপুরের (Churachandpur) দিকে রওনা দেন কংগ্রেস নেতা। ইম্ফল (Imphal) থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার যেতেই তাঁর কনভয় আটকে দেওয়া হয়। মণিপুর পুলিশ কেন রাহুলের (Rahul Gandhi) কনভয় আটকেছে, তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, চপারে চড়েই চূড়াচাঁদপুরে যাবেন রাহুল। প্রসঙ্গত, অগ্নিগর্ভ মণিপুরের এলাকাগুলি ঘুরে দেখতে দু’দিনের জন্য সেরাজ্যে পৌঁছেছেন রাহুল।
বৃহস্পতিবার সকালে ইম্ফল পৌঁছন কংগ্রেস নেতা। বিমানবন্দর থেকেই হিংসার উৎপত্তিস্থল চূড়াচাঁদপুরের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু মাত্র ২০ কিলোমিটার এগোতেই তাঁর কনভয় আটকে দেওয়া হয়। মে মাসে এই চূড়াচাঁদপুরের একটি মিছিল থেকেই হিংসার সূত্রপাত। তারপর থেকেই গোটা মণিপুর অশান্ত হয়ে উঠেছে। রাজ্যের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলির মধ্যে অন্যতম এই চূড়াচাঁদপুর।
[আরও পড়ুন: রাজ্যসভার নিশ্চিত আসনে প্রার্থী হতে বঙ্গ বিজেপিতে দ্বন্দ্ব! স্বপনকে আটকাতে মরিয়া মিঠুন]
প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছিল ২৯ ও ৩০ জুন মণিপুর সফরে যাবেন রাহুল গান্ধী। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি ইম্ফল ও চূড়াচাঁদপুরে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলবেন। পাশাপাশি ত্রাণ শিবিরগুলিও পরিদর্শন করবেন বলেও দলের তরফে জানানো হয়। সেই সূচি মেনেই বৃহস্পতিবার ইম্ফলের বিমানবন্দরে পৌঁছন রাহুল। তাঁকে স্বাগত জানান রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত, হিংসা বিধ্বস্ত চূড়াচাঁদপুরে তিনশোরও বেশি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। অন্তত ৫০ হাজার মানুষকে সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন। গত প্রায় দু’মাস ধরে জ্বলছে মণিপুর। এহেন পরিস্থিতিতেও রাহুলকে দেখতে ভিড় জমান বিশাল সংখ্যক মানুষ। তাঁদের হঠাতে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছে পুলিশ, এমনটাও শোনা গিয়েছে। কংগ্রেসের তরফে বলা হয়, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী তো হিংসা বিধ্বস্ত এলাকায় যাননি, কিন্তু রাহুল গান্ধী সেখানে হাজির।