সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাটনায় পট পরিবর্তনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাংলা পেরিয়ে বিহারে ঢুকেছে রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা। প্রায় ৪ বছর পর বিহার গেলেও অথচ নীতীশ কুমারকে নিয়ে একটি শব্দও খরচ করলেন না রাহুল। ভালোবাসার দোকান থেকে মণিপুরের হিংসা নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দাগলেও ‘পল্টুরাম’ নীতীশকে নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। শেষবার ২০২০ সালে বিধানসভা ভোটের আগে বিহারে গিয়েছিলেন তিনি।
১৪ জানুয়ারি মণিপুর থেকে যখন রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা শুরু হয় তখন বিহার কংগ্রেসের জোট শরিকের রাজ্য়। আর সোমবার যখন তিনি পদযাত্রা নিয়ে সে রাজ্য়ে ঢুকলেন ততক্ষণে পাটনার পট পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস, আরজেডির হাত ছেড়ে পদ্মশিবিরের হাত ধরে বিহারের মসনদে বসেছেন নীতীশ। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এই ডিগবাজি নিয়ে বিরক্ত ইন্ডিয়া জোটের সদস্যরা। তাঁকে তুলোধোনা করেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। বলেন, নীতীশের ইন্ডিয়া জোটে আসা, শেষ মুহূর্তে ‘ডিগবাজি’ খাওয়া, এই গোটা ঘটনাচক্রই ছিল পূর্বপরিকল্পিত। মহাজোটকে বেকায়দায় ফেলতে শুরু থেকেই এহেন নীল নকশা তৈরি করে ময়দানে নেমেছিল বিজেপি আর জেডিইউ। কংগ্রেসের সামনে ধোঁকার টাটি তৈরি করেছিল তারা। সংবাদ সংস্থা এএনআইর প্রশ্নের উত্তরে ক্ষুব্ধ খাড়গে বলেন, “এহেন সিদ্ধান্ত (নীতিশের শিবির বদল) একরাতে নেওয়া হয় না। ফলে গোটাটাই যে পূর্বপরিকল্পিত ছিল তা স্পষ্ট। আমাদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেছেন নীতীশ। একইভাবে লালুপু্রসাদ যাদবকেও ভাঁওতা দিয়েছেন তিনি।”
খাড়গে খড়গহস্ত হলেও রাহুলের মুখে কুলুপ। জোটবদল নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি তিনি। বরং রাহুলের মুখে উঠে আসে ভালোবাসার দোকানের কথা। অভিযোগ করে বলেন, বিজেপির আদর্শ দেশ নিয়ে হিংসা ছড়াচ্ছে। মানুষ আর্থিক, সামাজিক ন্যায় পাচ্ছেন না। সেই ঘৃণার রাজনীতির মাঝে ‘ভালবাসার দোকান’ খুলেছে কংগ্রেস।