সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ‘এটা কোনও উপহার নয়। ক্ষতিপুরণ হল করোনায় মৃতদের পরিবারগুলির প্রাপ্য অধিকার।’ করোনায় মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থানের তীব্র সমালোচনা করলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তাঁর দাবি, কেন্দ্র পেট্রল-ডিজেল থেকে চার লক্ষ কোটি টাকা কর পাচ্ছে। তাহলে করোনায় মৃতদের ক্ষতিপূরণের জন্য আলাদা তহবিল হবে না কেন? প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির প্রশ্ন, সরকার পেট্রল-ডিজেল থেকে যে ৪ লক্ষ কোটি টাকা কর তুলেছে, সেটা যাদের পরিবারের মানুষ মারা গেছেন, তাঁদের পকেট থেকেও গিয়েছে। রোজ সাধারণ মানুষের পকেট থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে। তাহলে কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না?
মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠকে করোনার ‘মিস-ম্যানেজমেন্ট’ নিয়ে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেন কংগ্রেস (Congress) নেতা। বক্তব্য, করোনা শুধু যে একটি জৈবিক রোগ, তা নয়। এর প্রভাব অর্থনৈতিক-সামাজিক সব রকম। সরকারের উচিত বিরোধীদের কথা শোনা এবং করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের প্রস্তুতি নেওয়া। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি বলছেন, কোভিডের (Covid-19) দ্বিতীয় ঢেউ যদি খারাপ হয়ে থাকে, তাহলে করোনার তৃতীয় ঢেউ ভয়াবহ। আর সেই ভয়াবহ পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সরকারকে সাহায্য করার লক্ষ্যেই এই দেড়শো পাতার শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে কংগ্রেস।
[আরও পড়ুন: নরেন্দ্র মোদির নামই যথেষ্ট! যোগীর উত্তরপ্রদেশ জিততে প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তিতে ভরসা বিজেপির]
রাহুলের দাবি, করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় বেশ কিছু অপ্রয়োজনীয় মৃত্যু হয়েছে। যা এড়ানো যেত। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে তিনি বুঝতে পেরেছেন, করোনায় বৃদ্ধ, কো-মর্বিডিটি আছে, এমন অনেকের মৃত্যু হয়। কিন্তু সেই সঙ্গে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যাদের অক্সিজেন দিলে বাঁচানো যেত। দেশে অক্সিজেনের ঘাটতি নেই। অথচ, ওদের বাঁচানো যায়নি। প্রধানমন্ত্রীর ‘কুম্ভীরাশ্রু’ স্বজনহারাদের চোখের জল মুছতে পারবে না। মৃতদের পরিবারের লোকগুলো প্রধানমন্ত্রীর চোখের জল চায় না, অক্সিজেন চায়। সকলেই জানেন, প্রধানমন্ত্রী দরকারের সময় ভোটপ্রচারে ব্যস্ত ছিলেন। সরকারের টিকাকরণ নীতি (Vaccination) নিয়েও এদিন প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল। তাঁর বক্তব্য, “ভারতই সম্ভবত একমাত্র দেশ, যেখানে টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে। আর প্রধানমন্ত্রী বরাবর নিজের মার্কেটিং করে যাচ্ছেন। কখনও তালি বাজানো-কখনও থালি বাজানো, কখনো দিয়া জ্বালানো, এসব দেড় বছর বাদে করোনাকে হারিয়ে দেওয়ার পর করলে ভাল হত।