সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্ভয়ার পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করতেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। নির্ভয়ার মৃত্যুর পর থেকেই মানসিকভাবেও তাঁর পরিবারের পাশে ছিলেন রাহুল। নির্ভয়ার চার ধর্ষকের ফাঁসির দিনই একথা জানিয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা বদ্রিনাথ সিং। তাঁর কথায়, “রাহুল গান্ধী আমাদের পরিবারকে সান্ত্বনা দিয়েছেন। নানাভাবে সাহায্যও করেছেন। অনেক সময় অর্থও দিয়েছেন। কিন্তু বাইরে সেকথা জানাতে কঠোরভাবে নিষেধ করে দিয়েছিলেন রাহুল।”
সাত বছরের অপেক্ষার শেষে ২০ মার্চ ফাঁসিকাঠে চড়েছে চার ধর্ষক। ২০১২ সাল থেকে দীর্ঘ লড়াই চলেছে। অবশে্ষে সমস্ত প্রতিকূলতা পেরিয়ে জয় পেয়েছে নির্ভয়ার পরিবার। সেই প্রতিকূল দিনগুলোর কথা বলতে গিয়ে বদ্রিনাথ জানান, “মেয়ের মৃত্যুর পরে অনেকেই সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু রাহুল একা টানা সাহায্য করে গিয়েছেন।” তিনি আরও বলেন, “রাহুল গান্ধী যে দলই করুক, তিনি আমাদের কাছে দেবদূতের মতো।” নির্ভয়ার ভাই এখন পাইলট। বদ্রিনাথ জানিয়েছেন, রাহুলের সাহায্যেই নির্ভয়ার পরিবার এখন পাইলট হয়েছে। নির্ভয়ার বাবা আরও বলেন, “রাহুলের কাছে আমাদের কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই। তিনি আমাদের বরাবরই বলতেন, আমাদের সাহায্য করার পিছনে তাঁর কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। মানবিক কারণেই তিনি আমাদের সাহায্য করছেন।”
[আরও পড়ুন : নিয়মকে বুড়ো আঙুল! বিদেশ থেকে ফিরেই ট্রেনে করে ঘুরলেন তেলেঙ্গানার বিধায়ক]
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের নির্ভয়া ধর্ষণ কাণ্ড এখনও সবার মনের কোণে রয়েছে। গত সাড়ে সাত বছর ধরে নির্ভয়ার পরিবার লড়াই করেছে। অবশেষে মিলল সুবিচার। তিহারের ৩ নম্বর জেলে ফাঁসি হল এই চার দোষীর। বুধবার পবন জল্লাদ-সহ জেল কর্তৃপক্ষ ফাঁসির মহড়া দিয়েছিলেন। দোষী চারজনের সমান ওজনের বস্তা ঝুলিয়ে দড়ি থেকে শুরু করে বাকি আরও সব পরীক্ষা করা হয়েছে। দশটি দড়ি নিয়ে আসা হয়েছে বিহার থেকে। সেগুলি শেষবারের মতো পরীক্ষা করা হয় বৃহস্পতিবারই। শুক্রবার সূর্যোদয়ের আগেই ফাঁসিকাঠে ঝোলে পবন, অক্ষয়, বিনয় এবং মুকেশ।
[আরও পড়ুন : দিল্লি হিংসা মামলা: ফের ১০ দিনের জেল বহিষ্কৃত আপ কাউন্সিলর তাহির হোসেনের]
The post কঠিন সময়ে নির্ভয়ার পরিবারের পাশে থেকেছেন রাহুল গান্ধী, করতেন আর্থিক সাহায্যও appeared first on Sangbad Pratidin.