সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে তাপমাত্রা বাড়লেই বিদেশে পালিয়ে যান কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত ২০ বছরে একটাও ছুটি নেননি। এভাবেই মোদি এবং রাহুলের কর্মক্ষমতার তুলনা টানলেন মোদি বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। রাহুল গান্ধী কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পর তাঁকে ব্যক্তিগত স্তরে আক্রমণ করার ঝাঁজ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছিল বিজেপি। একটা সময় যে রাহুলকে উঠতে বসতে ‘পাপ্পু’ বা ‘শাহজাদা’ বলে কটাক্ষ করতেন বিজেপি নেতারা, তাঁরা এখন অনেকটাই সম্ভ্রম দেখান কংগ্রেস সভাপতির প্রতি। কিন্তু ভোট আসতেই, আবার সেই পুরনো মেজাজে ফিরছে গেরুয়া শিবির। ফের আক্রমণের বিষয়বস্তু হয়ে উঠছে রাহুলকে ব্যক্তিগত আক্রমণ, তাঁর অজ্ঞাতবাস।
[আরও পড়ুন: সোনিয়া গান্ধীর থেকে দেশপ্রেম শেখা উচিত মোদির, বলছেন সিধু]
একটা সময় বিজেপি নেতাদের আক্রমণের অন্যতম হাতিয়ার ছিল এই অজ্ঞাতবাস। দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সহ-সভাপতি থাকাকালীন মাঝেমাঝেই কর্মীদের অথৈ জলে ফেলে দিয়ে ভ্যানিশ হয়ে যেতেন কংগ্রেস সভাপতি। বিদেশ সফরে তিনি কোথায় যেতেন সে সম্পর্কে কোনও তথ্য থাকত না দলের শীর্ষ নেতাদের কাছেও। যাই হোক, সেসব এখন অতীত। কারণ, সভাপতি হওয়ার পর থেকেই রাহুল বেশ দায়িত্ববান। আর যাই হোক, তাঁকে আর আংশিক সময়ের রাজনীতিক বলা যাবে না। কিন্তু তাতে কী, তুলনা যখন মোদি বনাম রাহুলের তখন পুরনো এই অস্ত্রকে হাতছাড়া করতে চান না বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
দিন দুই আগে রাজস্থানে তিনি বলেছিলেন, মোদিজি দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করেন। অন্যদিকে, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী কাজের থেকে বিশ্রাম বেশি করেন। এবার উত্তরপ্রদেশে বললেন, “দেশে গরম একটু বাড়লেই ছুটি নিয়ে নেন রাহুল। চলে যান বিদেশে। কোথায় যান, মা সোনিয়াও জানেন না। আরেকদিকে মোদিজিকে দেখুন৷ গত ২০ বছরে একটাও ছুটি নেননি। আপনারা মোদিকে একবার সুযোগ দিয়েছেন, তিনি পাঁচ বছর আপনাদের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। প্রচুর প্রকল্প এনেছেন।”
[আরও পড়ুন: আশীর্বাদ নিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত, উমা ভারতীকে জড়িয়ে কেঁদে ফেললেন সাধ্বী প্রজ্ঞা]
বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, অমিত শাহ রাহুলের বিরুদ্ধে ছুটি নেওয়ার যে অভিযোগ তুলছেন, তা অনেকাংশে সত্যি নয়। ২০১৭এ দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আর অজ্ঞাতবাসে যাননি রাহুল। যে ক’বার বিদেশে গিয়েছেন, তার সবকটিই ছিল সরকারি সফর। একবার মাত্র গিয়েছিলেন বোন প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে আমেরিকায় আলোচনা করতে। তাছাড়া ভোটের মরশুমে রাহুল যেভাবে পরিশ্রম করছেন, তাতে মোদিকে টপকে না গেলেও তাঁর সমকক্ষ তো বলাই যায়। কংগ্রেস সভাপতি ২০১৭ সালের গুজরাট নির্বাচন থেকেই পরিশ্রমের ধারাটা অব্যাহত রেখেছেন। এরপর গতবছর পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনেও প্রচুর জনসভা এবং রোড শো করছেন তিনি। এবারের ভোটের মরশুমেও দিনে অন্তত ৩টি জনসভা, পর্যালোচনা বৈঠক এবং সর্বোপরি রোড শো করছেন কংগ্রেস সভাপতি।
The post ‘গরম বাড়লেই বিদেশে পালান রাহুল’, ‘অজ্ঞাতবাস’ নিয়ে কটাক্ষ অমিত শাহ’র appeared first on Sangbad Pratidin.