সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: লোকসভার বিরোধী দলনেতা পদে বসছেন রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক চলাকালীন সরকারিভাবে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিল কংগ্রেস। প্রায় ৩ দশকের রাজনৈতিক কেরিয়ারে এই প্রথম কোনও সাংবিধানিক পদে বসলেন রাহুল।
১০ বছর বাদে লোকসভায় বিরোধী দলনেতার পদ পাচ্ছে কংগ্রেস (Congress)। বিরোধী দলনেতার পদ পেতে হলে লোকসভায় মোট আসনের ১০ শতাংশ পেতে হয়। অর্থাৎ ৫৫ জন সাংসদ প্রয়োজন পড়ে। ২০১৪ সালে এবং ২০১৯ সালে ন্যূনতম সেই সংখ্যাও জোগাড় করতে পারেনি কংগ্রেস। এবার পরিস্থিতি অন্য। এবার কংগ্রেসের হাতে ৯৯ জন সাংসদ। সঙ্গে রয়েছে ইন্ডিয়া (INDIA) জোটের শরিকদের সমর্থন। ফলে কংগ্রেসের হাতে সরকারকে কোণঠাসা করার ভালো সুযোগ রয়েছে।
[আরও পড়ুন: IS জঙ্গিদের জেরায় হদিশ, কলকাতা পুলিশের অভিযানে মধ্যপ্রদেশে গ্রেপ্তার মডিউলের মাথা]
সেকারণেই এবার বিরোধী দলনেতা পদে রাহুলকে বসাতে চাইছিল কংগ্রেস। গত ৯ জুন কংগ্রেস কর্মসমিতর বৈঠকে বিরোধী দলনেতা পদে রাহুলকে বসাতে চেয়ে প্রস্তাব পাশ করায় কংগ্রেস। সেই প্রস্তাব এতদিন ঝুলিয়ে রেখেছিলেন রাহুল। তবে স্পিকার নির্বাচনের আগেই কংগ্রেসের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল জানিয়ে দিলেন, রাহুলই বিরোধী দলনেতা হবেন। মঙ্গলবারই প্রোটেম স্পিকারকে চিঠি লিখে দলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন কংগ্রেসের সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী। প্রায় ৩ দশক সক্রিয় রাজনীতি করছেন কংগ্রেসের রাজপুত্র। এর আগে দলের সভাপতিও হয়েছেন। কিন্তু কোনও সাংবিধানিক পদে কোনওদিন বসেননি। এই প্রথম রাহুলকে সাংবিধানিক পদে বসালো কংগ্রেস।
[আরও পড়ুন: বাসে হারিয়েছে যাত্রীর খিচুড়ির টিফিন বক্স, ধনেপাতার আঁটি! খুঁজে দিতে হিমশিম পরিবহণ কর্তারা]
রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) বিরোধী দলনেতা হলে কংগ্রেসের তরফে আরও একটা বার্তা দেওয়া যাবে বলে মনে করছে দল। কী সেই বার্তা? কংগ্রেস মনে করছে, রাহুল বিরোধী দলনেতা হলে শরিকদের কাছেও স্পষ্ট হয়ে যাবে আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রথম দাবিদার তিনিই। তাছাড়া সম্মানের নিরিখে বিরোধী দলনেতার পদ ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমান। তাছাড়া ইডি-সিবিআই-ভিজিল্যান্স কর্তাদের নিয়োগ করার ক্ষেত্রেও হাত থাকে তাঁর। রাহুল ওই পদে বসলে তাঁর নিজের গুরুত্ব আরও বাড়বে জাতীয় রাজনীতিতে।