সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটকের (Karnataka) জনসংখ্যার ১৭ শতাংশ লিঙ্গায়ত (Lingayat) সম্প্রদায়ের মানুষ। এই সম্প্রদায় রাজ্যের বড় ভোটব্যাঙ্ক। ক্ষমতায় আসতে তাদের সমর্থন জরুরি। সেই লিঙ্গায়ত সন্ন্যাসীদের ভবিষ্যদ্বাণী, রাহুল গান্ধী (Rahul Gnadhi) প্রধানমন্ত্রী হবেন। কর্ণাটক কংগ্রেসের (Congress) জন্য এই মন্তব্য সুখকর হলেও তাল কাটেন লিঙ্গায়ত সন্ন্যাসীদের মঠের প্রধান সন্ন্যাসী। তিনি জানিয়ে দেন, যিনিই মঠে আসুন, আশীর্বাদ পান।
এদিন শ্রী মুরুগরাজেন্দ্র মঠে গিয়ে লিঙ্গায়ত সন্ন্যাসীদের সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সেই সময় এক সন্ন্যাসী হাভেরি হোসামুত্ত স্বামী নিজের বক্তব্যে বলেন, “রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হবেন।” মঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সময় সহ-সন্ন্যাসীর বক্তব্য থামিয়ে মাঝপথেই লিঙ্গায়ত মঠের প্রধান সন্ন্যাসী তথা প্রেসিডেন্ট শ্রী শিবমূর্তি মুরুঘা শরণরু বলেন, “যিনিই আমাদের মঠে আসুন, তিনি আশীর্বাদ পান।”
[আরও পড়ুন: রাজ্যসভায় ভোটের জন্য ২৫ কোটির প্রস্তাব ছিল, বিস্ফোরক অভিযোগ রাজস্থানের মন্ত্রীর]
কর্ণাটকের ভোটব্যাংক লিঙ্গায়তরা পরম্পরাগতভাবে বিজেপির (BJP) ভোটার। বিশেষত গত এক দশকে। তবে রাজ্যে রাহুল গান্ধীর আগমনে উদ্বুদ্ধ কংগ্রেস নেতারা। শীর্ষ নেতার রাজ্য সফরের ফলে সংগঠন শক্তিশালী হবে বলে আশা করছে রাজ্য নেতৃত্ব। উল্লেখ্য, আগামী বছর মে মাসের রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ধীর গতিতে হলেও মাঠে নেমে পড়েছে সব দল।
[আরও পড়ুন: মোদির আরজি মেনে প্রোফাইল ছবিতে তেরঙ্গা, সঙ্গে নেহরুর ছবি দিয়ে চমক রাহুলের]
প্রসঙ্গত, ২০১৩-১৮ পর্যন্ত রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটের পরে জনতা (ধর্মনিরেপক্ষ) দলের সঙ্গে জোট বাঁধে রাহুল গান্ধীর দল। তবে জনতা দলের নেতা এইচডি কুমারস্বামী (HD Kumaraswamy) মুখ্যমন্ত্রী হন। কিন্তু বছর খানেক পর একধিক বিধায়কের পদত্যাগে কুমারস্বামী সরকার পড়ে যায়। এরপর ক্ষমতায় আসে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হন লিঙ্গায়ত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বিএস ইয়াদুরাপ্পা (BS Yediyurappa)। গত বছর মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তন করে গেরুয়া শিবির। তবে লিঙ্গায়ত সম্প্রদায়কে অসন্তুষ্ট করে নয়। ওই সম্প্রদায়েরই বাসবরাজ বোম্মাই (Basavaraj Bommai) মুখ্যমন্ত্রী হন এবার। এখন দেখার রাহুল গান্ধীর লিঙ্গায়ত মঠ দর্শন ও সন্ন্যাসীদের সঙ্গে সাক্ষাতে কংগ্রেসের কোনও সুবিধা হয় কিনা।