বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: একুশে বাংলা (Bengal) জয়ের লক্ষ্যে জোট বাঁধার পথে হাঁটছে বাং-কংগ্রেস। কিন্তু সরকারিভাবে জোট হওয়ার আগেই একাধিক জট তৈরি হচ্ছে। এবার সেই জট কাটাতেই প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)।
বাংলায় বাম-কংগ্রেস জোটের সম্ভাবনা কতটা, তাতে দলের লাভ-ক্ষতি সংক্রান্ত রিপোর্ট নিতে বাংলার নেতাদের সঙ্গে ২৭ নভেম্বর ভারচুয়াল বৈঠকে বসছেন রাহুল গান্ধী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরিকে জোটের মুখ করা নিয়ে কংগ্রেসের বিভিন্ন স্তরে জল্পনা শুরু হয়েছে। বামেরা আবার সেই সম্ভবনা অঙ্কুরেই বিনাশ করতে চাইছে। এ কে গোপালন ভবন সূত্রে খবর, রাজ্য কমিটি থেকে রিপোর্ট পেয়েই তড়িঘড়ি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে কথা বলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। যেভাবে শুরুতেই কিছু নেতার দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের কারণে জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা হয় বলে সিপিএম সূত্রের খবর। সীতার সঙ্গে কথা বলার পরই প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেন রাহুল।
[আরও পড়ুন: ‘হিম্মত থাকলে ভাইপো না বলে নাম বলুন’, স্বজনপোষণ ইস্যুতে বিজেপিকে পালটা কুণাল ঘোষের]
জোট নিয়ে ইতিমধ্যে তিনদফা আলোচনা হয়েছে বাম-কংগ্রেসের রাজ্য নেতাদের মধ্যে। কিন্তু আসনরফা এখনও অধরা। আপাতত যৌথ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই পক্ষই। জোটের আলোচনা কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তা নিয়ে কিছু প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রদেশ সভাপতি। যদিও তাতে আলিমুদ্দিনের সম্মতি সেভাবে মেলেনি। এরই মধ্যে অধীর চৌধুরিকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ করে ভোটে যাবে জোট এমন প্রকাশ্যে এমন বক্তব্য রেখেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের দু-একজন নেতা। তাতেই জোটে জটিলতা বাড়তে শুরু করেছে। কংগ্রেস (Congress) নেতৃত্বের এহেন মন্তব্য সিপিএম (CPM) যে ভাল চোখে দেখছে না তা বলাইবাহুল্য।
আগামী শুক্রবার রাহুল প্রদেশ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে বার্তা আসে বিধানভবনে। রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক কে সি বেনুগোপালের সঙ্গে প্রদেশ সভাপতির কথা হয় বলে বিধানভবন সূত্রে খবর। ওইদিন রাহুল ভারচুয়াল সভা করবেন বলে জানান বেনুগোপাল। প্রদেশ সভাপতি ছাড়াও বিরোধী দলনেতা, সাংসদ ও বিধায়কদের বৈঠকে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জোটরফাকে কেন্দ্র করে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে তা কাটাতেই রাহুলের এই সভা বলে মনে করা হচ্ছে। আলোচনা ছাড়াই অধীরকে জোটের মুখ হিসাবে সংবাদমাধ্যমে ভাসিয়ে দেওয়া নেতাদের সতর্ক করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও কংগ্রেসের তরফে বামেদের কাছে ক’টি আসন দাবি করা হবে এবং নির্বাচন পরিচালন কমিটিও নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে জানান কংগ্রেস নেতা শুভঙ্কর সরকার।