সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বিষ্ণুর দশম অবতার’ স্বঘোষিত ধর্মগুরু কল্কি ভগবানের আশ্রম থেকে উদ্ধার হল প্রায় ৫০০ কোটি মূল্যের বেআইনি সম্পদ। এর মধ্যে নগদ ৯৩ কোটি টাকা। আমেরিকান মুদ্রায় ১৮ কোটি টাকা। অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু, কর্নাটকে কল্কি ভগবান ও তাঁর পুত্র কৃষ্ণর বিভিন্ন আশ্রম ও বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বাজেয়াপ্ত করেছে আয়কর দপ্তর। উদ্ধার হয়েছে হিসাববহির্ভূত ৮৮ কেজির সোনা ও ১২৭১ ক্যারেটের হিরের গয়না ও রত্ন। সোনার মূল্য আনুমানিক ২৬ কোটি ও হিরের মূল্য পাঁচ কোটি।
শুক্রবার আয়কর দপ্তরে জানানো হয়, চেন্নাই, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু, চিত্তুরে কল্কি ভগবান নামে ওই ধর্মীয় গুরুর প্রায় ৪০টি আশ্রমে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকেই এই বিপুল পরিমাণ আয়বহির্ভূত অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে। ১৯৮০ সালে নিজেকে ধর্মগুরু বলে দাবি করে জিবাশ্রম প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছিলেন কল্কি। নয়ের দশকে নিজেকে ভগবান বিষ্ণুর দশম অবতার কল্কি বলে দাবি করেন। অতীতে তিনি জীবনবিমার এক কেরানি ছিলেন। এক ও অখণ্ড দর্শনের মতবাদ প্রচার করাই ছিল তাঁর গোষ্ঠীর লক্ষ্য।
[আরও পড়ুন: হিন্দুদের পক্ষেই যাবে অযোধ্যার রায়, আশাবাদী আরএসএস]
যদিও পরে প্রবাসী ভারতীয় ও বিদেশিদের মধ্যে দর্শন ও আধ্যাত্মবাদের প্রচার করে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তামিলনাড়ুতে ভক্তদের জন্য ‘ওয়াননেস ইউনিভার্সিটি’ নামে একটি ধর্ম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও তৈরি করেন। ভক্তদের কাছে তিনি শ্রী ভগবান নামেই পরিচিত। তাঁর এই ইউনিভার্সিটির ক্লাসে এক সময় নিয়মিত যেতেন বলিউড অভিনেতা হৃতিক রোশন, শিল্পা শেট্টি, মণীষা কৈরালা। সূত্রের খবর, বিশ্বজুড়ে কল্কি ভগবানের ভক্তের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ। তাঁর দর্শন প্রচারের জন্য বিদেশ থেকে প্রচুর অর্থ আসতে থাকে তাঁর কাছে। এই সব টাকার কোনও রসিদও দেওয়া হত না। এই সমস্ত অর্থের কোনও কর দিতেন না কলকি।
পরে সেই সমস্ত অর্থ দিয়ে দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে রিয়েল এস্টেট শিল্পে বিনিয়োগ করেন। বাড়ি-ফ্ল্যাট নির্মাণ শিল্প, খেলাধূলার ক্ষেত্রেও প্রচুর বিনিয়োগ করে নিজের ধর্মীয় সংগঠনের নামে ব্যবসা চালাতে থাকেন বলে অভিযোগ আয়কর দপ্তরের।
The post হৃতিক-শিল্পা শেট্টির গুরু কল্কি ভগবানের আশ্রমে উদ্ধার ৫০০ কোটির বেআইনি সম্পদ appeared first on Sangbad Pratidin.