সুব্রত বিশ্বাস: ওয়াগনের বডি ভেঙে সিগন্যাল পোস্ট থেকে ওভারহেড তারের মাস্ট ও ব্রিজের সাপোর্টিং পিলার ভাঙার ঘটনায় ক্ষুব্ধ রেল বোর্ড। খড়গপুর-ভদ্রক শাখার সোরো স্টেশনের এই ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট দাখিল করতে বলেছে বোর্ড। বৃহস্পতিবার খড়গপুরে সেফটি আধিকারিকের ঘরে ১৬ যান রেলকর্মীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সোরো স্টেশনের কাছে এই দুর্ঘটনার খবর ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এ প্রকাশিত হওয়ার পর নড়ে বসে রেল বোর্ড। ডিভিশনকে ক্ষতির পরিমাণ ও দুর্ঘটনার কারণ জানতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: এবার ২৪ ঘণ্টা মিলবে RTGS পরিষেবা, নয়া সিদ্ধান্ত রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার]
অতিরিক্ত পাথর বোঝাইয়ে ওয়াগনের দেওয়াল ভেঙে যায় বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছে। এই মুহূর্তে যাত্রী ট্রেন খুব সামান্য চলছে। ফলে আয় বজায় রাখতে রেল পণ্য পরিবহনে জোর দিয়েছে। মালগাড়ির গতি বাড়ানোর পাশাপাশি অতিরিক্ত মালবোঝাই করে বিপত্তি বাড়ছে বলে রেলকর্তাদের একাংশ মনে করেছেন।
এই ঘটনার পরও রেল শিক্ষা নেয়নি বলে অভিযোগ। শুক্রবার আন্দুলের উপর দিয়ে ডানকুনির দিকে মালগাড়ি যাওয়ার সময় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। তাঁদের অভিযোগ, কয়লার ডাস্ট মালগাড়িটিতে এত উঁচু করে বোঝাই করা হয়েছে, যে হওয়ায় তা ছড়াচ্ছে। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। অতিরিক্ত মাল বোঝাইয়ে জন্য নির্দিষ্ট সংস্থাগুলির উপর দোষ চাপিয়েছে রেল। লোডিংয়ের সময় তারাই আইন মনে না। যদিও এক্ষেত্রে গার্ডের দায়িত্ব প্রচুর। তিনি বাড়তি মনে করলে, তা কমানোর নির্দেশ দিতে পারে। অনেকে অভিযোগ তুলেছেন, এটা ইচ্ছাকৃত। বহু সময় ওয়াগনের বহন ক্ষমতার সার্টিফিকেট ম্যানুয়ালি দেওয়া হয়। ওয়াগন প্রিএক্সামিন হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এতে বডি ভাঙা থেকে শুরু করে, ইঞ্জিনের হাউলিং ক্যাপাসিটি, লাইনের ক্ষমতা নষ্ট হচ্ছে। অপারেশন বিভাগের এক কর্তার কথায়, কয়লা উৎপাদনকারী সংস্থাগুলোকে বারবার সতর্ক করে এমনকি জরিমানা করেও কোনও ফল হয়নি। দেয়নি জরিমানা। কয়লা লোডিংয়ের সময় অত্যন্ত গরম থাকে। যা পরে আগুন লেগে যায়। ওয়াগনের খাঁটি হয়। এসব জেনেও সতর্ক হয়নি সংস্থাগুলি।