সুব্রত বিশ্বাস ও অভিষেক চৌধুরী: ঈশ্বরের দ্বারে ভক্ত ধরে প্রতারণার কাজ বেশ চলছিল। কিন্তু ভগবান আর কত সহ্য করবেন? মঙ্গলবার রাতে কালনা স্টেশন থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকের উর্দিধারী সেই প্রতারককে গ্রেপ্তার করল রেল পুলিশ। মায়াপুরকে কেন্দ্র করে চলছিল এই প্রতারণা। শেষমেশ পর্দাফাঁস। বিএসএফ আধিকারিকের রূপ ধরে প্রতারণার ফাঁদ আর টিকল না। হাতেনাতে ধরা পড়ল বাঁকুড়ার বাসিন্দা প্রসেনজিৎ দুবে।
ধৃত যুবকের নাম প্রসেনজিৎ দুবে, বাড়ি বাঁকুড়ায়। নিজস্ব চিত্র।
গত ৬ জুলাই কালনার (Kalna) ঠাকুরপাড়ার বাসিন্দা শুভাশিস দত্ত স্ত্রীকে নিয়ে ইসকন মন্দিরে যান। সেখানে বিএসএফ (BSF) আধিকারিকের পোশাক পরিহিত এক যুবক তাঁদের সঙ্গে সখ্য জমায়। দুপুরে ফেরার সময় নবদ্বীপ স্টেশনে ওই যুবক তাঁদের কাছে আসে। পাশে বসে গল্প করে চলে যাওয়ার পর শুভাশিসবাবু দেখেন, মানিপার্স ও মোবাইল গায়েব। এর পর তিনি কালনা রেল পুলিশ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ বিষয়টির উপর লক্ষ্য রাখছিল।
[আরও পড়ুন: সাতসকালে উত্তরপ্রদেশে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা, মৃত অন্তত ১৮]
মঙ্গলবার রাতে নবদ্বীপ স্টেশনে বিএসএফের উর্দি পরা এক যুবককে দেখতে পায় রেল পুলিশ। শুভাশিসবাবুর দেওয়া বর্ণনার সঙ্গে যুবকের মিল থাকায় তাকে আটক করে জিআরপি (GRP)। এর পর কালনা রেলপুলিশে থানায় এনে জেরা করতেই দুষ্কর্মের কথা স্বীকার করে প্রসেনজিৎ দুবে নামে ওই যুবক। বেশ কিছুদিন ধরে মায়াপুরের ইসকন (ISKCON) মন্দিরে বিএসএফের পোশাক পরে ঘুরে বেড়াত। ভক্তদের সঙ্গে পরিচয় করার পর রাস্তায় বেরিয়ে তাঁদের সঙ্গে ফের দেখা করত সে। সখ্য জমিয়ে সুযোগ বুঝে মানি ব্যাগ, মোবাইল হাতিয়ে নিত।
[আরও পড়ুন: গোলে ফিরলেন মেসি, নীল-সাদা ঝড়ে উড়ে গেল কানাডা, কোপার ফাইনালে আর্জেন্টিনা]
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত প্রতারকের প্রসেনজিৎ দুবের বাড়ি বাঁকুড়ার মেজিয়ায়। পুলিশের জেরায় জানিয়েছে, ওই মন্দিরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা থাকায় তাকেও সন্দেহ করার কেউ ছিল না। মন্দিরে আগত ভক্তদের কাছে টাকাপয়সা থাকত। ফলে সেই মওকায় কাজ ভালোই চলছিল। এতদিনে কতজনকে সে নিঃস্ব করেছে, প্রসেনজিৎকে ক্রমাগত জেরা করে পুলিশ তা জানার চেষ্টা করছে।