সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টিকিটের দামের বিনিময়ে যাত্রীকে ৬ টাকা ফেরত দেননি। ১৯৯৭ সালের এই ঘটনার জেরে চাকরি হারান রেলের এক কর্মী। ২৬ বছর কেটে গেলেও এই মামলা থেকে নিষ্কৃতি পাননি তিনি। রেলের শৃঙ্খলা বিভাগের তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ার পরে আদালতের দ্বারস্থ হন এই ক্লার্ক। কিন্তু বম্বে হাই কোর্টও (Bombay High Court) জানিয়ে দেয়, নিস্তার পাবেন না তিনি।
জানা গিয়েছে, রেলের ওই ক্লার্কের নাম রাজেশ ভার্মা। ১৯৯৭ সালে কুর্লা টার্মিনাস জংশন স্টেশনে টিকিট কাউন্টারে কর্মরত ছিলেন তিনি। সেই সময়ই নজরদারি চালানোর জন্য ভুয়ো যাত্রী সেজে হাজির হন এক আরপিএফ জওয়ান। ২১৪ টাকা মূল্যের একটি টিকিট কাটেন তিনি। টিকিটের দাম মেটাতে ৫০০ টাকার নোট দেন আরপিএফ জওয়ান। ২৮৬ টাকার বদলে ২৮০ টাকা ফেরত দেন রাজেশ।
[আরও পড়ুন: ব্যবহৃত হবে না ‘পতিতা’, ‘সতী’র মতো শব্দ, লিঙ্গবৈষম্য রুখতে নির্দেশিকা সুপ্রিম কোর্টে]
সঙ্গে সঙ্গেই টিকিট কাউন্টারে তল্লাশি চালায় রেলের নজরদারি দল। রাজেশের ক্যাশবাক্স থেকে ৫৮ টাকার খোঁজ মেলেনি। কিন্তু পাশের একটি জায়গা থেকে ৪৫০ টাকা উদ্ধার করেন নজরদারি দল। তাঁদের অনুমান, টিকিট বাবদ যাত্রীদের থেকে বেশি অর্থ আদায় করতেন রাজেশ। সেটাই আলাদা জমিয়ে রাখতেন। যাত্রীদের অর্থ হাতানো থেকে শুরু করে রেলের টিকিটের দামের হিসাবে গরমিল- একাধিক অভিযোগ ওঠে রাজেশের বিরুদ্ধে। রেলের তরফে তদন্ত শুরু হয়।
২০০২ সালে রেলের তদন্তে দোষী প্রমাণিত হন রাজেশ। জানুয়ারি মাসে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। তারপরেই আদালতে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে চেয়ে আবেদন করেন রাজেশ। তাঁর আইনজীবী জানান, ওই সময় খুচরো ফেরত দেওয়ার পরিস্থিতি ছিল না তাই ওই যাত্রীকে অপেক্ষা করতে বলেছিলেন রাজেশ। তাছাড়া ক্যাশবাক্সেও অন্যরা টাকা রেখে থাকতে পারে। কিন্তু কোনও যুক্তিই ধোপে টেকেনি। বম্বে হাই কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, রাজেশ ভার্মাকে নিষ্কৃতি দেওয়া যাবে না।
[আরও পড়ুন: ৫ ঘণ্টার ঝটিকা সফরে কলকাতায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, কী কর্মসূচি রয়েছে তাঁর?]