সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২০ সালের মার্চ থেকেই তীব্র সংকটে ছিল ভারতীয় রেল। অতিমারীর দাপটে রোজগার ঠেকেছিল তলানিতে। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারি থেকে বদলাতে শুরু করেছে পরিস্থিতি। এপ্রিল থেকে অক্টোবর- কয়েক মাসে টিকিট বিক্রি করে রেল আয় করেছে ৩৩ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকা। যা গত বছরের সময়কালের হিসেবে ৯২ শতাংশ বেশি! নিঃসন্দেহে এই আয়বৃদ্ধিতে মুখে হাসি রেল কর্তাদের।
রেল মন্ত্রকের দেওয়া তথ্যানুসারে, ২০২১-২২ সালের প্রথম ৬ মাসে টিকিট বিক্রি থেকে রেলের আয় ছিল ১৭ হাজার ৩৯৪ কোটি টাকা। এবার গোটা বছরে টিকিট বিক্রির আয় ৫৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা করাই লক্ষ্য রেলের। দেখা যাচ্ছে এপ্রিল থেকে অক্টোবরের সময়কালে এখনও পর্যন্ত সংরক্ষিত বিভাগে ২৪ শতাংশ আয় বেড়েছে। গত বছর এই সময়কালে যেখানে প্রায় ৩৪.৫ কোটি জন টিকিট সংরক্ষণ করেছিল, সেখানে এবার তা বেড়ে হয়েছে ৪২.৯ কোটি জন। ফলে একধাক্কায় এই বিভাগে রোজগার ৬৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৬ হাজার ৯৬১ কোটি টাকা। একই ভাবে ওই সময়কালেই অসংরক্ষিত বিভাগে রোজগার ৫ গুণ বেড়েছে। ফলে তা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা। রেল মন্ত্রকের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে ফের ঊর্ধ্বমুখী দেশের কোভিড গ্রাফ, একদিনে সংক্রমিত ২ হাজারের বেশি]
করোনা আমলে রোজগার কমে যাওয়ার পর থেকেই নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া রেল। গত মাসেই রেলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে স্টেশনের দৈনিক আয় পনেরো হাজারের কম, সেই স্টেশনে দাঁড়াবে না মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন। এতদিন পর্যন্ত এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি ৫ হাজার টাকা আয়ের ভিত্তিতে স্টপেজ দিত।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, একটি স্টেশনে ট্রেন থামিয়ে ফের চালু করতে যা বিদ্যুৎ খরচ হয়, তা প্রায় সাতশো টাকার উপর। পাশাপাশি কর্মচারীদের বেতন, সাফাই এবং যাত্রীদের পরিষেবার দায় সব মিলিয়ে খরচ বিশাল। তাই যে সমস্ত স্টেশনে ২০-র কম সংখ্যায় যাত্রী ট্রেনে ওঠেন বা দৈনিক আয় ১৫ হাজারের কম সেই সমস্ত স্টেশনগুলিতে আর দাঁড়াবে না কোনও এক্সপ্রেস ট্রেন। এইভাবে খরচ কমিয়ে লভ্যাংশ বাড়াতে চাইছে রেল।