সুব্রত বিশ্বাস: লোকাল ট্রেনে (Local train) মহিলা যাত্রীদের সুরক্ষায় এবার লেডিজ কামরায় বসতে চলেছে ইমারজেন্সি টক ব্যাক সিস্টেম (ইটিবি)। সুরক্ষার অভাব বোধ করলে মহিলা যাত্রীরা ট্রেনের গার্ড ও চালকের সঙ্গে অডিও সিস্টেমে যোগাযোগ করতে পারবেন। পরিস্থিতি বুঝে সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন থামানো বা পরের স্টেশনে গিয়ে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। পরিস্থিতি বুঝে আরপিএফ, জিআরপির সঙ্গে যোগাযোগ করবেন ট্রেনের গার্ড।
[আরও পড়ুন: ‘মমতাই শেষ কথা, তৃণমূলে কোনও দাদার স্থান নেই’, শুভেন্দুকে তোপ ছত্রধরের]
পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে সেন্ট্রাল রেলের ১৫৭টি ট্রেনে প্রথম এই সিস্টেমটি লাগানো হয়েছে। ফল ভাল এলে পরবর্তী পর্যায়ে তা অন্য রেল জোনগুলিতেও কার্যকর হবে। সেন্ট্রাল রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শিবাজী সুতার জানিয়েছেন, মহিলা যাত্রীদের যাত্রা সুরক্ষিত রাখতে এই প্রকল্প। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু হয়ে শেষ হতে বেশ কয়েক মাস লাগবে। জানা গিয়েছে, মহিলা কামরাগুলির দরজার কাছে ইমারজেন্সি টক ব্যাক সিস্টেম লাগানো হবে। যোগাযোগকারী মহিলা যাত্রীকে সুইচ তিন সেকেন্ড চেপে রাখতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে গার্ডের কেবিনের অডিও ডেস্ক ও চালকের ডেস্কে স্ক্রিনে ‘ইমারজেন্সি’ চিহ্ন ফুটে উঠবে। গার্ড ওই যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি বুঝতে পারবেন। এরপর ট্রেন দাঁড় করানোর প্রয়োজন হলে ট্রেন থামিয়ে দেবেন। পরবর্তী স্টেশনে যাওয়ার পরিস্থিতি থাকলে সেখানে গিয়ে ব্যবস্থা নেবেন। একাধিক কল একসঙ্গে এলে কল ওয়েটিং ব্যবস্থা থাকছে। একটা কল হোল্ডে রেখে অন্য কল ধরতে পারবেন গার্ড। ফেক কল এলে বোঝা যাবে কোন কামরার কোন গেট থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মহিলা যাত্রীদের নিরাপদ ভ্রমণে আলাদা লেডিস স্পেশ্যাল রয়েছে মুম্বই ও কলকাতায়। তা সত্বেও অসংখ্য মহিলা যাত্রী সাধারণ লোকাল ট্রেনগুলিতে যাত্রা করেন। রাতে মহিলা কামরাগুলি কার্যত ফাঁকা থাকায় বিপদের আশঙ্কা থাকে সেখানে। বিগত সময়ে এমন বহু ঘটনা ঘটেছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রুখতে তাই মহিলা কামরাতে বসানো হচ্ছে ইমারজেন্সি টক ব্যাক সিস্টেম। এবার রাতেও অনেকটা নিশ্চিন্তে যাত্রা করতে পারবেন মহিলা যাত্রীরা।