সুব্রত বিশ্বাস: যাত্রী প্রতীক্ষালয় ঝাঁ-চকচকে হয়েছে আগেই। এলইডি আলোর চমক থেকে দৈত্যাকার ফ্যানের হাওয়াও মিলেছে যাত্রীদের কপালে। এবার স্বাচ্ছন্দ্যের তালিকায় চলে এল বাতানুকূল শৌচালয়। পাইলট প্রোজেক্ট হিসাবে ওয়েস্টার্ন ও সেন্ট্রাল রেলের বেশ কিছু স্টেশনে এই শৌচালয় তৈরির কাজ শুরু হতে চলেছে। এর পর অন্য জোনগুলির স্টেশনেও এই ধরনের শৌচালয় তৈরি করবে রেল।
মুম্বইয়ের সিএসটিএম, থানে, সেন্ট্রাল রেলের গোবান্ডি, বদলাপুর, ভাঙালী, অম্বরনাথ, উল্লাসনগরে প্রথমে এই লাক্সারি শৌচালয় তৈরি হবে। ভারতীয় রেলের স্টেশনে এই প্রথম বাতানুকূল শৌচালয় রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হবে এমন ঠিকা সংস্থাকে যাদের এ সম্পর্কিত বিশেষত্ব রয়েছে। এজন্য মউ স্বাক্ষর হবে সংস্থাগুলির সঙ্গে। বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, সেন্ট্রাল রেলে প্রাথমিকভাবে অপরিচ্ছন্ন স্টেশনগুলি চিহ্নিত করা হচ্ছে। এর পর দু’টি পর্যায়ে কাজ হবে। প্রথমে শৌচালয়গুলিকে সাফাই করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে শৌচালয়গুলির পরিকাঠামো বাতানুকূলের যোগ্য করে তোলা হবে। এজন্য খোলনলচে বদলে ফেলা হবে।
[ রাষ্ট্রপতির সিলমোহর, দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন গগৈ ]
সেন্ট্রাল রেলের স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শৌচালয়গুলিতে বিশেষ কিছু জিনিস খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যার মধ্যে নিকাশি ব্যবস্থা, পাইপ লাইন, জলের সংযোগ, আলো ও বাতাসের বহিঃনির্গমন পথ ইত্যাদি।
শুধু এই পরিষেবা শুরু করেই এবার থামতে চায় না রেল। কেমন পরিষেবার বহর তা খতিয়ে দেখার জন্য নেওয়া হবে ব্যবহারকারীদের মতামত। তা যাচাই করেই নেওয়া হবে পরবর্তী পদক্ষেপ। শৌচালয়ের নির্দিষ্ট অ্যাপ ও ফেসবুকে পোস্টের ব্যবস্থা থাকবে। যাতে নজর রাখবে রেলের এই সংক্রান্ত বিভাগ। পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের বড় স্টেশনগুলিতে কবে এই পরিষেবা পাওয়া যাবে তা স্পষ্ট করে জানায়নি বোর্ড সূত্র। তবে এখানকার যাত্রীদের দাবি বাড়তি শৌচালয়ের। হাওড়া ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে শৌচালয় তুলে দেওয়ায় চরম অসুবিধার সামনে পড়েছেন যাত্রীরা।
[ পুজোর মরশুমে যাত্রী সুরক্ষায় নজর রেলের, বাড়ানো হচ্ছে প্রহরা ]
The post যাত্রী পরিষেবায় আরও উন্নতি, স্টেশনে হবে বাতানুকূল শৌচালয় appeared first on Sangbad Pratidin.