সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্যাঁচপ্যাঁচে গরম থেকে শহরবাসীকে সাময়িক মুক্তি দিল প্রাক-বর্ষা। স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজল তিলোত্তমা। শুক্রবার সকালে গরমে নাজেহাল শহরে কিছুটা হলেও গ্রীষ্মের দাপট থিতিয়ে দিল বৃষ্টি। কালবৈশাখীর আমেজ ধরে রেখে শহরের বিস্তীর্ণ এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রবল বৃষ্টি নামে। ফলে বেশ খানিকটা নেমে যায় তাপমাত্রা। গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে মিলেছে সাময়িক রেহাই।
[বাঁশদ্রোণীতে গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু, স্বামীকে আটক করল পুলিশ]
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় এদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হালকা থেকে মাঝারি মাপের বৃষ্টি নামতে পারে হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান ও নদিয়া জেলায়। ৪০ থেকে ৫০ কিমি বেগে হওয়া চলার সম্ভাবনাও রয়েছে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬.২ ডিগ্রি ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৬ ডিগ্রি।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা আসতে আর কয়েকদিন বাকি। কয়েকদিন আগেই মিলেছিল সুখবর। জানা গিয়েছিল, আন্দামান উপকূলে এসে গিয়েছে বর্ষা। আর দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুও নারাজ নয়। খুশি মনেই বর্ষাকে সে নিয়ে আসছে কেরলে। ইতিমধ্যে কেরল উপকূলে ঝেঁপে নেমেছে বৃষ্টি। কথা ছিল, তিনদিন আগেই কেরলে বর্ষার আগমন হবে। হাওয়া অফিসের সেই ভবিষ্যদ্বাণীকে মিথ্যে প্রমাণ করেনি বর্ষা। নির্দিষ্ট দিনের তিনদিন আগেই কেরল পৌঁছায় বর্ষা। সাধারণত ১ জুন দেশের মূল ভূখণ্ডে বর্ষা আসার পালা। কিন্তু গতকাল থেকেই কেরলকে ভেজাতে শুরু করেছে বৃষ্টি। গোটা দেশে এবার তার ছড়িয়ে পড়তে লাগবে মাত্র দেড় দেড় মাস।
আন্দামানে নির্ধারিত সময়ের কিছু পরে ঢুকেছিল বর্ষা। আবহবিদরা জানিয়েছিলেন, এর জন্য দায়ী জোড়া ঘূর্ণিঝড়, সাগর এবং মেকুনু। এই দুইয়ের জেরেই বর্ষার এ দেশে আগমনে তিন দিনের বিলম্ব ঘটে। ফলে কেরলেও দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগমনে দেরি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু আদতে দেখা গেল তা হল না। নিয়ম মেনেই দেশের মূল ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ল বর্ষা।
[হাতিয়ার স্থূল শরীর, মহিলা চোরের কারসাজিতে নিঃস্ব রেলযাত্রীরা]
The post দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় প্রাক-বর্ষার বৃষ্টি, ভিজল তিলোত্তমাও appeared first on Sangbad Pratidin.