রাজ কুমার: উত্তরবঙ্গের অসুর সম্প্রদায়ের কথা আগেই শুনেছেন তৃণমূল বিধায়ক ও টলিউড পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। এবার প্রথম তাঁদের ভাষায়, তাঁদের গলায় গান শুনলেন রাজ। গানের ভাষা বুঝতে না পেরে যখন এই সম্প্রদায়ের মানুষের কাছেই বুঝলেন অর্থ। ব্যস, তখনই ঠিক করে ফেললেন, শুধু গান নয়। অসুর সম্প্রদায়ের জীবনকে করবেন ক্য়ামেরা বন্দি। রাজ সোজা জানিয়ে দিলেন শীঘ্রই তিনি তৈরি করবেন অসুর সম্প্রদায়কে নিয়ে বিশেষ তথ্যচিত্র।
বিধানসভার তথ্য সংস্কৃতি ও ক্রীড়া দফতরের স্ট্যান্ডিং কমিটির ভরা বৈঠকে উত্তরবঙ্গের পিছিয়ে পড়া অসুর সম্প্রদায়ের গান শুনলেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ও অদিতি মুন্সি।
[আরও পড়ুন: ‘চুমু-বিতর্ক’কে বুড়ো আঙুল! তিরুপতি-দর্শনে মনে বল পেলেন ‘সীতা’ কৃতী স্যানন]
বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারে এসে পৌঁছন বিধান সভার তথ্য সংস্কৃতি ও ক্রীড়া দফতরের স্ট্যান্ডিং কমিটি। যে কমিটির চেয়ারম্যান হলেন রাজ চক্রবর্তী। এই কমিটি জেলার ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ে রিপোর্ট তৈরি করবে। সেই উদ্দেশ্যে এদিন আলিপুরদুয়ার সার্কিট হাউসে একটি বৈঠক করেন রাজ। এই বৈঠকে জেলা প্রশাসনিক কর্তারা ছাড়াও জেলার ক্রীড়া ও সংস্কৃতি জগতের মানুষেরা উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠকে অসুর সম্প্রদায়ের দুই প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের মাঝেই অসুর সম্প্রদায়ের গান শুনতে চান রাজ চক্রবর্তী। রাজের আবেদনে সাড়া দিয়ে অসুর সম্প্রদায়ের দুই জন গানও করেন। পরে সেই গানের অর্থ জানতে চান রাজ। হিন্দিতে সেই গানের অর্থ বুঝিয়ে দেন অসুর সম্প্রদায়ের দুই মহিলা। গান শুনে অভিভূত হয়ে যান রাজ। পরে জানান দীর্ঘদিন থেকে অসুর সম্প্রদায়ের কথা শুনেছেন তিনি। এবার এই সম্প্রদায়কে নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি করবেন।
উল্লেখ্য আলিপুরদুয়ার জেলার মাঝের ডাবরি চাবাগান ও বীরপাড়ার কিছু অসুর সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করেন। আলিপুরদুয়ার জেলা ছাড়াও ডুয়ার্সের জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা,বানারহাট,চালসাতেও এই অসুর সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস রয়েছে। তূলনামুলকভাবে এখনও পিছিয়েপড়া এই অনগ্রসর অসুর সম্প্রদায়ের মানুষেরা। সেই মানুষদের গল্পই এবার তথ্যচিত্রে তুলে ধরবেন রাজ চক্রবর্তী।