সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শর্টফিল্ম নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক! তার জেরেই সাসপেন্ড তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সহ-সভাপতি প্রান্তিক চক্রবর্তী এবং যুবনেত্রী রাজন্যা হালদার। শুক্রবার নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে এই খবর জানিয়ে পোস্ট করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।
এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয় , 'দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য প্রান্তিক চক্রবর্তী এবং রাজন্যা হালদারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এনিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি।'
তৃণমূলের যুবনেত্রী হিসেবে উঠে এসেছিলেন রাজন্যা। ছাত্র পরিষদের যাদবপুর-ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার সহ-সভানেত্রী পদে ছিলেন তিনি। সম্প্রতি 'আগমনী তিলোত্তমার গল্প' নামের শর্টফিল্মের পোস্টারে দেখা যায় তাঁকে। এই ছবিরই পরিচালক রাজন্যার ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রান্তিক চক্রবর্তী। তিনিই লিখেছেন চিত্রনাট্য। আর জি কর আবহে ছবিটিকে কেন্দ্র করেই তুঙ্গে বিতর্ক। শাসকদলের কথায়, সৃষ্টির স্বাধীনতা সবার রয়েছে। তবে, আর জি করের ধর্ষণ ও খুনের মতো একটি মর্মান্তিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রচার কাম্য নয়। দল এটা কখনই সমর্থন করে না। অনুমোদনও করে না।
যে শর্টফিল্ম ঘিরে বিতর্ক
এনিয়ে শাসকদলের তরফে সোশাল মিডিয়ায় কড়া বার্তা দেন কুণাল ঘোষ। ফেসবুকে তৃণমূল নেতা লেখেন, 'আর জি কর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে একটি শর্টফিল্মের খবর এসেছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা তিলোত্তমার ঘটনার ন্যায়বিচার চাই। এই স্পর্শকাতর বিষয়কে প্রচারে ব্যবহার করার চেষ্টার আমরা বিরোধী। যে কোনও ব্যক্তির স্বাধীনতা আছে সৃষ্টিতে। কিন্তু তদন্তাধীন এই মর্মান্তিক ঘটনাকে দলের সঙ্গে জড়িত কেউ যদি ছবির প্রচারে ব্যবহার করে, দল তার দায়িত্ব নেবে না। দল এবিষয়ে কোনও অনুমতি দেয়নি, দল জানত না। যে বা যারা এর সঙ্গে জড়িত, খতিয়ে দেখে, কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতৃত্বকে বলা হয়েছে।' এরপর কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রান্তিক চক্রবর্তী এবং রাজন্যা হালদারকে সাসপেন্ড করা হয়।
মহালয়ার দিনই 'আগমনী তিলোত্তমার গল্প' ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা। কিছু দৃশ্য শুট করা হয়েছে সোনারপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন একটি এলাকায়। বারুইপুরের জুলপিয়া রোডেও ছবির কিছু অংশ শুট করা হয়েছে।