সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেরল, পাঞ্জাবের র এবার রাজস্থান। CAA প্রত্যাহারের দাবিতে শুক্রবার কংগ্রেসশাসিত মরুরাজ্যের বিধানসভায়ও প্রস্তাব পেশ করা হল। যথারীতি এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে রাজস্থানের বিরোধী দল বিজেপি। এমনকী বিধানসভা বাজেট অধিবেশন থেকে ওয়াকআউটও করেন বিজেপি বিধায়করা।
২০১৯-এ ডিসেম্বরে সংসদে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাস হয়েছে। এরপর থেকেই আইনের বিরুদ্ধে সরব গোটা দেশ। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টেও একগুচ্ছ মামলা দায়ের হয়েছে। এমনকী কেরল, পাঞ্জাবের বিধানসভায় এই বিতর্কিত আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস হয়েছে। এবার সেই পথে হাঁটল রাজস্থানও।
[আরও পড়ুন : সিএএ-আর্থিক মন্দা ধাক্কা দিলেও মোদিতেই মজে দেশ, বলছে সমীক্ষা]
এ প্রসঙ্গে রাজস্থানের উপ মুখ্যমন্ত্রী শচিন পাইলট বলেন, “দেশের প্রত্যেকের ভিন্নমত প্রকাশের অধিকার রয়েছে। আমরাও শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের মতামত প্রকাশ করছি। একই সঙ্গে কেন্দ্রের কাছে CAA পুর্নবিবেচনার দাবি জানাচ্ছি। তবে এই আইনের বৈধতা যাচাই করবে সু্প্রিম কোর্ট।” এই বিতর্কিত আইনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ হচ্ছে। কোথাও কোথাও আবার সহিংস আন্দোলনও হয়েছে. সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর হয়েছে। জ্বলেছে বাস-ট্রেন-পুলিশের গাড়ি। আন্দোলনের জেরে আক্রান্ত হয়েছে বহু মানুষ। CAA’র বিরোধিতা করলেও সহিংস আন্দোলনকেও সমর্থন করেননি রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা প্রদেশ কংগ্রেস প্রধান শচিন পাইলট। তাঁর কথা,য়, “শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধিতা করা যায়। কিন্তু আন্দোলনের নামে হিংসা ছড়ানোকে সমর্থন করা যায় না।”
[আরও পড়ুন : দিল্লির নির্বাচনকে ভারত-পাক যুদ্ধ বলার জের, বিপাকে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র]
বিধানসভা CAA বিরোধী প্র্স্তাব পেশের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন রাজস্থানের বিজেপির প্রধান তথা বিধায়ক সতীশ পুনিয়া। তাঁর কথায়, “বিধানসভায় আনা CAA বিরোধী প্রস্তাবের বিরোধিতা করছি আমরা।” একইসঙ্গে খুব কম সময়ের নোটিশে বিধানসভা অধিবেশন ডাকা নিয়েও কংগ্রেসের নিন্দায় সরব হয়েছে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা গুলবচাঁদ কাটারিয়া জানান, অধিবেশনের অন্তত ২১দিন আগে নোটিশ দেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার সেই নিয়ম আদৌ মানেনি।
The post কেরল-পাঞ্জাবের পর এবার রাজস্থান, বিধানসভায় পেশ CAA বিরোধী প্রস্তাব appeared first on Sangbad Pratidin.