সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজস্থানে বিধানসভা ভোটের প্রচারের শেষ লগ্নে মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে জল্পনা উসকে দিলেন প্রবীণ নেতা অশোক গেহলট। রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরলে তিনিই মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন কি না, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বরাবর হাইকম্যান্ড যা চেয়েছে আমার ভূমিকা তেমনটাই হয়েছে। আমি কখনওই নিজের ভূমিকা ঠিক করি না। হাইকম্যান্ড আমাকে যে ভূমিকা দেবে, তাই আমি পালন করবো।”
শনিবার রাজস্থানে ভোট। ২০০ আসনে এক দফাতেই ভোটগ্রহণ হচ্ছে। গণনা আগামী ৩ ডিসেম্বর। বৃহস্পতিবার ছিল প্রচারের শেষ দিন। নির্বাচনে জিতে কংগ্রেস আবার ক্ষমতায় ফিরলে গেহলটকেই আবার মুখ্যমন্ত্রী করা হবে কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে মরুরাজ্যে। রাজ্য-রাজনীতিতে জল্পনা, কংগ্রেসের অন্দরে ‘গেহলট বিরোধী’ হিসাবে পরিচিত প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইটলকে (Sachin Pilot) মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নিতে পারেন রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খাড়গেরা। কংগ্রেসের তরফে ‘পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী’ হিসাবে কোনও নাম ঘোষণা করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে গেহলটের মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ।
[আরও পড়ুন: রেলট্র্যাক রক্ষণাবেক্ষণের কাজ, সপ্তাহান্তে শিয়ালদহ শাখায় বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন]
এদিকে, ভোটের মুখে ঘোরতর সমস্যার মুখে বিজেপি। বসুন্ধরা (Vasundhara Raje) রাজের অনুগামী হিসাবে পরিচিত একদা রাজস্থান বিজেপির ‘সংখ্যালঘু মুখ’ ইউনুস খানকে এবার প্রার্থী করেনি গেরুয়া শিবির। তাতে যারপরনাই চটেছেন তিনি। বিজেপি ছেড়ে নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে দাঁড়িয়েছেন ইউনুস। ভোটের প্রচারে একই কথা বলে চলেছেন তিনি, ‘‘রাম এবং রহিম দু’জনেই আমার হৃদয়ে।’’ তবে সেই সঙ্গেই রাজস্থানের প্রাক্তন বিজেপি মন্ত্রী ইউনুস খান স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিচ্ছেন, বিজেপি নেতৃত্ব তাঁকে যে অপমান করেছেন, তা ভুলে যাওয়ার প্রশ্নই নেই।
[আরও পড়ুন: টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন: মহুয়া বিতর্কের পর বদলে গেল সংসদীয় ওয়েবসাইটে লগ ইনের নিয়ম!]
প্রসঙ্গত, ২০০৩ এবং ২০১৩ সালে নাগৌর জেলার দীদওয়ানা কেন্দ্র থেকে বিধানসভা ভোটে জয়ী হয়েছিলেন ইউনুস। হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের মন্ত্রিসভার ‘নাম্বার টু’। কিন্তু ২০১৮ সালের ভোটে তাঁকে নতুন দায়িত্ব দিয়েছিল দল। প্রার্থী করা হয়েছিল টঙ্ক আসনে তৎকালীন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শচীন পাইলটের বিরুদ্ধে। রাজ্যজুড়ে বিজেপি বিরোধী হাওয়ায় শচীনের মতো নেতাকে হারাতে পারেননি ইউনুস। এ বার পুরনো আসন দীদওয়ানাতেও তাঁকে টিকিট দেয়নি দল। আড়াই দশক ধরে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ইউনুস তাই লড়তে নেমেছেন নির্দল হয়ে। তবে শুধু ইউনুস নন। রাজস্থানে এ বার বসুন্ধরা অনুগামী দু’ডজনেরও বেশি নেতার টিকিট ছেঁটেছে বিজেপি। তাঁদের অর্ধেকই দাঁড়িয়ে পড়েছেন নির্দল হিসাবে। ভোটের আগে পদ্ম-শিবিরের চিন্তা বাড়িয়েছেন ওইসব বিদ্রোহী নির্দলেরা।