সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নজিরবিহীনভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত আধিকারিকদের আড়াল করতে নয়া আইন আনছে রাজস্থানের বসুন্ধরা রাজে সরকার। এই নয়া আইন মোতাবেক কোনও বিচারপতি, প্রাক্তন-বিচারপতি, সরকারি আমলার বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত করা যাবে না।
[তাজমহল নিয়ে কেরল পর্যটন দপ্তরের টুইটে মজেছে নেটিজেনরা]
গত ৭ সেপ্টেম্বর ‘দ্য ক্রিমিনাল ল’ অর্ডিন্যান্স, ২০১৭’ নামের এই অর্ডিন্যান্সটি বিধানসভায় পেশ করে রাজে সরকার। অনুমোদিত হলে বিচারপতি ও সরকারি আমলাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে তাঁদের রক্ষাকবচের কাজ করবে এই আইন। বর্তমানে যেকোনও সরকারি আধিকারিক বা আমলাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন অভিযোগকারী। সেক্ষেত্রে পুলিশের কাছেও নালিশ জানাতে পারেন তিনি। তবে রাজে সরকারের এই নয়া বিল পাশ হলে তা আর সম্ভব হবে না। তখন সরকারের অনুমোদন ছাড়া আমলা ও বিচারপতিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় তসন্তের নির্দশ দিতে পারবে না আদালত। কোনও ধরনের তদন্ত চালাতে পারবে না পুলিশও। কোনও আধিকারিকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করা হলে তিনি ১৮০ দিনের জন্য নিজেকে বাঁচানোর সময় পাবেন। ওই সময়ের মধ্যে তদন্তের নির্দেশ দিতে পারবে না আদালতও। এবং ১৮০ দিনের মধ্যে সরকার আপত্তি জানালে ওই অভিযোগে আর তদন্ত করা যাবে না।
রাজস্থান সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, সোমবার বিধানসভায় পেশ হতে চলেছে এই অর্ডিন্যান্স। এই অর্ডিন্যান্স সংবাদমাধ্যমের উপরও রাশ টানার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুধুমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও আমলা বা বিচারপতিদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা যাবে না। এই নিয়মের অন্যথা হলে দু’বছরের সাজার নিদানও রয়েছে এই বিলে। ইতিমধ্যে এই অর্ডিন্যান্স নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। অভিযোগ দুর্নীতি ও বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে জড়িত আধিকারিকদের বাঁচানোর জন্যই এই পন্থা নিয়েছে বসুন্ধরা রাজের সরকার। বিচারব্যবস্থার উপর কি রাশ টানতে পারে সরকার? উঠছে এমন প্রশ্নই। এছাড়াও সংবাদমাধ্যমের উপর সেন্সরের কাঁচি হয়ে উঠতে পারে এই আইন বলেও মনে করছেন অনেকেই।
[ধর্ষণে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক, নির্যাতিতার পরিবারকে বয়কট গ্রামবাসীদের]
The post দুর্নীতিগ্রস্ত আধিকারিকদের আড়াল করতে ‘রক্ষাকবচ’ রাজস্থান সরকারের appeared first on Sangbad Pratidin.