সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজস্থানের (Rajasthan) কংগ্রেস সরকারের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মন্ত্রী মহেশ যোশির ছেলে রোহিত যোশির বিরুদ্ধে ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ উঠেছিল। বছর ২৩-এর এক তরুণী মন্ত্রীপুত্রের বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। এবার সেই ঘটনায় মন্ত্রীপুত্রকে গ্রেপ্তার করতে রাজস্থানে হাজির দিল্লি পুলিশ। রবিবার ভোরে দিল্লি পুলিশের ১৫ জনের একটি দল জয়পুর পৌঁছায়। পুলিশের বক্তব্য, গ্রেপ্তারি এড়াতে রোহিত পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এদিন মন্ত্রীর বাড়িতে ছেলেকে না পেয়ে বাড়ির দরজায় হাজিরার নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়ে গেল পুলিশ।
তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৮ মে এফআইআর দায়ের করে দিল্লি পুলিশ। ওই তরুণী অভিযোগ করেন, গত বছরের ৮ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ১৭ এপ্রিলের মধ্যে তাঁকে একাধিক বার ধর্ষণ করেছে মন্ত্রীর ছেলে। তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল রোহিত। এদিন দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “ধর্ষণের মামলায় পলাতক রোহিতকে ধরতে আমাদের অফিসারদের একটি দল জয়পুরে পৌঁছেছে। আধিকারিকরা মন্ত্রীপুত্রর খোঁজে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।” যদিও পরে জানা গিয়েছে, মন্ত্রী মহেশ যোশির বাড়িতে তাঁর ছেলে অভিযুক্ত রোহিতের খোঁজ মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রীর বাড়ির দরজায় পুলিশের সামনে হাজিরার নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ধর্ষণের মামলায় আগামী ১৮ জানুয়ারির মধ্যে দিল্লিতে গিয়ে হাজিরা দিতে হবে রোহিতকে।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেসের সংকল্প শিবিরেও অন্তর্দ্বন্দ্ব, প্রকাশ্যে গেহলট-পাইলট বিরোধ ]
প্রসঙ্গত, তরুণী জানিয়েছিলেন, গত বছর রোহিতের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয় ফেসবুকে। প্রথমবার তাঁরা জয়পুরে দেখা করেন। এরপর ২০২১ সালের ৮ জানুয়ারি তাঁকে সওয়াই মাধোপুরে আসতে বলে রোহিত। সেবারই তাঁর পানীয়তে মাদক মিশিয়ে দেয় রোহিত। পরদিন সকালে তাঁর নগ্ন ছবি ও ভিডিও দেখানো হয়। যা দেখে চিন্তিত হয়ে পড়েন তরুণী।
[আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় মানিক সাহার শপথেও BJP’র কাঁটা গোষ্ঠীকোন্দল, গরহাজির উপমুখ্যমন্ত্রী-কারামন্ত্রী]
একবার দিল্লিতেও তাঁর সঙ্গে দেখা করেন রোহিত। সেবার তাঁরা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একটি হোটেলে ওঠেন। বিয়ের প্রতিশ্রুত দেয় রোহিত। যদিও তারপর মদ খেয়ে তরুণীকে মারধর করে সে। তরুণীর অশ্লীল ভিডি তৈরি করে। তা ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয়। গত বছরের ১১ আগস্টে তরুণী বুঝতে পারেন তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়েছেন। যদিও রোহিত সন্তান চায়নি। ফলে সে ভ্রুণ নষ্ট করার ওষুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করে। তবে তরুণী তা খাননি। এরপরেই মন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত নামে দিল্লি পুলিশ।