নন্দিতা রায় ও সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: বাদল অধিবেশনের প্রায় শুরু থেকেই বিরোধীদের লাগাতার ধরনা, প্রতিবাদ। সোমবার অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই মণিপুর (Manipur) ইস্যুতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সংসদ ভবনের বাইরে গান্ধীমূর্তি পাদদেশ ধরনা শুরু করেন INDIA জোটের শরিকরা। এছাড়া লোকসভার মধ্যেও তৃণমূল-সহ বিরোধী সাংসদরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন। ব্যাহত হয় কার্যক্রম। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে চলবে সংসদ? এই প্রশ্ন নিয়ে লোকসভায় তৃণমূলের সংসদীয় দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। শুধু তৃণমূলের দলনেতাকেই নয়, তিনি সমস্ত বিরোধী নেতাকেই ফোন করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। মণিপুর ইস্যুতে কেন্দ্র যথেষ্ট চাপে পড়েছে এবং সংসদ সুষ্ঠুভাবে চালাতে মরিয়া, তা রাজনাথ সিংয়ের ফোন থেকেই স্পষ্ট। এমনই মত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের।
জানা গিয়েছে, সকালেই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Sudip Banerjee)ফোন করেন রাজনাথ সিং। বর্ষীয়ান নেতা হিসেবে সংসদ চালাতে তাঁকে সহযোগিতার আবেদন জানান। তবে সুদীপবাবু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিবৃতি না দিলে সুর নরম নয়। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, ”আমাদের যে INDIA জোট আছে, সেই জোটের নেতারা সবাই মিলে যা ঠিক করেছেন, সেই কর্মসূচি আমরা চালাব। প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করা বিরোধীদের কিছু অন্যায় দাবি নয়। আর বাংলার সঙ্গে মণিপুরের তুলনা করা হচ্ছে। বাংলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল, দেশের মধ্যে ভাল, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মধ্যে ভাল। কিন্তু মণিপুরের অবস্থা এই মুহূর্তে দেশের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ। সেখান থেকে বাঁচতে বারবার বিজেপি বাংলার নাম টেনে আনছে।”
[আরও পড়ুন: শহরে ইস্টবেঙ্গল কোচ কুয়াদ্রাত, স্বাগত জানাতে মাঝরাতেই বিমানবন্দরে লাল হলুদ জনতার ঢল]
এদিকে, মণিপুর নিয়ে সংসদের অধিবেশন কক্ষেও শোরগোল বিরোধীদের। মণিপুর নিয়ে আলোচনার দাবিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান। ১২টা পর্যন্ত তিনি ওয়েলেই ছিলেন। বাইরে ধরনা কর্মসূচি থেকেই সোজা তিনি অধিবেশনে যোগ দেন। তাঁর বক্তব্য, বাংলার পরিস্থিতির সঙ্গে মণিপুরের তুলনা হয় না। বাংলায় ইন্টারনেট সার্ভিস কখনও বন্ধ হয়নি। মণিপুরী ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিতে হয়েছে। ডবল ইঞ্জিন সরকারেও এই অবস্থা? আবার বিজেপি চায়, বাংলা, রাজস্থানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হোক। রাজ্যসভাতেও (Rajya Sabha) প্রায় এক পরিস্থিতি। ডেরেক ও ব্রায়েন এ নিয়ে সরব হন। তাঁকে সতর্ক করে দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়।