সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখ নিয়ে কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চললেও লাগাতার বাড়ছে যুদ্ধের সম্ভাবনা। আগ্রাসনের পথ থেকে যে সরছে না চিন, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ড্রাগনের একাধিক কার্যকলাপে। চিনের এই আগ্রাসনকে নজরে রেখেই আমেরিকার সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখতে চাইছে ভারত। সেই লক্ষ্যেই আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। সূত্রের খবর, দুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক স্তরে পূর্ব লাদাখের অশান্তি আর চিনা আগ্রাসন নিয়েই আলোচনা হবে।
লাদাখ সীমান্তে যুদ্ধের আবহে ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের(Pakistan) তিনটি বিমান ঘাঁটিতে মোতায়েন হয়েছে‘পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ারফোর্স’ বা চিনা বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান। আসলে চিন চাইছে পাকিস্তান এবং নেপালকে সঙ্গে নিয়ে ভারতকে তিনদিক থেকে ঘিরে ফেলতে। হাত গুঁটিয়ে বসে নেই দিল্লিও। চিনের বিরুদ্ধে জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার সাম্প্রতিক অসন্তোষকে কাজে লাগাতে আগ্রহী ভারতও। তাছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পর্ক এমনিতেই বেশ ভাল। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকাকেও যাতে পাশে পাওয়া যায়, তা নিশ্চিত করতেই মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলছেন রাজনাথ। প্রতিরক্ষামন্ত্রকও কোনও লুকোছাপা না করে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হবে লাদাখ নিয়েই। এর ফলে চিনের উদ্দেশেও স্পষ্ট একটা বার্তা দেওয়া গেল বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
[আরও পড়ুন: কেন্দ্রের ডিজিটাল স্ট্রাইক! TikTok, Helo-সহ ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ]
উল্লেখ্য, লাদাখে চিনা আগ্রাসন বাড়তেই ইউরোপ থেকে ফৌজ সরিয়ে এশিয়ায় মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ইতিমধ্যেই প্রশান্ত মহাসাগরে যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী মোতায়েন করেছে আমেরিকা। এছাড়া, চলতি মাসের শুরুর দিকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের ভারচুয়াল সামিটে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে ঐতিহাসিক Mutual Logistics Support Agreement (MLSA) চুক্তি৷ ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, এই চুক্তির ফলে ভারত মহাসাগর ও দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে দু’দেশের মধ্যে সামরিক শক্তি বিনিময়ের পথ প্রশস্ত হয়েছে৷ তবে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, চুক্তি অনুসারী অস্ট্রেলিয়ার সেনাঘাঁটি ব্যবহার করে উপরোক্ত দুই মহাসাগরেই অবাধে পাড়ি দিতে পারবে ভারতীয় নৌবহর। এর ফলে চিনা নৌবাহিনীকে এক চক্রব্যূহর মধ্যে ঘিরে ফেলা যাবে।
The post লাদাখে অশান্তির মধ্যেই মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে আলোচনার পথে রাজনাথ, বাড়ছে জল্পনা appeared first on Sangbad Pratidin.