সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছবির নাম বদলেছে। পোস্টার পালটেছে। যে যে দৃশ্যে আপত্তি ছিল সেসবও উধাও। এমনকী নায়িকার উন্মুক্ত পেটও ঢেকে দেওয়া হয়েছে কমপিউটর গ্রাফিক্সে। কিন্তু তাতেও বোধহয় শেষরক্ষা হওয়ার নয়। সঞ্জয় লীলা বনশালির পদ্মাবত-এর মুক্তি রুখতে এবার চিতোরগড় দুর্গে জহরব্রত পালনের হুমকি দিলেন রাজপুত রমণীরা।
[ দীপিকার উন্মুক্ত পেটে আপত্তি, শেষমেশ কী করলেন সঞ্জয় লীলা বনশালি? ]
ইতিমধ্যে সেন্সরের সামনে দেখানো হয়েছে ছবি। যা যা সংশোধনীর পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল তা করেছেন পরিচালক। সেন্সরের আর কোনও বিশেষ আপত্তিও নেই। ফলে ছবিমুক্তি নির্ধারিত দিনেই হওযার কথা। কিন্তু হাত গুটিয়ে বসে নেই কর্ণি সেনাও। শনিবারই সর্বসমাজের একটি বৈঠক হয়। যেখানে উপস্থিতি হয়েছিলেন প্রায় শ’পাঁচেক সদস্য। তাঁদের মধ্যে প্রায় একশোজন মহিলাও ছিলেন। যাঁরা উচ্চ পরিবার থেকেই এসেছেন। প্রত্যেকেই ছবিমুক্তিতে নারাজ। তাঁদের দাবি, এত প্রতিবাদের পরও যদি ছবিমুক্তি হয়, তবে তাঁরাও রানি পদ্মাবতীর মতো জহর ব্রত পালন করবেন।
[ ‘আমার স্তন আছে, তো…’, কড়া বার্তায় বিদ্রুপের জবাব অভিনেত্রীর ]
এদিকে ছবি মুক্তি পেলে আরও বড় আন্দোলনের পথে হাঁটবে বলেই হুমকি কর্ণি সেনার। সংগঠনের মুখপাত্র বীরেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, আগামী ১৭ জানুয়ারি চিতোরগড় দুর্গের আশেপাশে জাতীয় সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে। সংগঠন যে এখনও ছবিমুক্তির বিরুদ্ধে, সে প্রতিবাদই করা হবে। এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গেও দেখা করবে সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল। সারা দেশে এ ছবিমুক্তি রদের আবেদন জানানো হবে। একই দরবার করা হবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। আর কোনও কিছুতেই সুরাহা না হলে, তাহলে ২৪ জানুয়ারি রাজপুত রমণীরা সম্মিলিতভাবে জহর পালন করবেন। ২৫ জানুয়ারি ছবিমুক্তি। তার আগেই জহর পালন করাকেই শেষ অস্ত্র হিসেবে দেখছেন রাজপুতরা। এবং যদি তা হয়, তাহলে আদৌ ছবিমুক্তি সম্ভব হবে কিনা, সে সংশয় ফের তৈরি হচ্ছে।
[ কেমন করে স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরি হয়, শেখাচ্ছেন ‘প্যাডম্যান’ অক্ষয় ]
এর আগে ২৫ ও ২৬ জানুয়ারি বিক্ষোভের আয়োজন করেছিল কর্ণি সেনা। কিন্তু সাধারণতন্ত্র দিবসের কারণেই সেই বিক্ষোভ এগিয়ে আনা হয়েছে। দুর্গের তরফে জানানো হয়েছে, বিক্ষোভ চললে আগেভাগে ফের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।
The post পদ্মাবত-এর মুক্তি রুখতে এবার ‘জহর’ পালনের হুমকি রাজপুত রমণীদের appeared first on Sangbad Pratidin.