অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: চোপরায় নিষ্ক্রিয় কেন্দ্রীয় বাহিনী! অভিযোগ তুললেন খোদ বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বন্দুক ব্য়বহারের প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। বিজেপি সাংসদের এহেন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব।
ভোটের দিন দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের সমতলের ভোটকেন্দ্রগুলিতে সকাল থেকেই টহল দিচ্ছেন বিজেপি সাংসদ। তাঁর অভিযোগ, চোপরায় একাধিক বুথে গোলমাল হচ্ছে। তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে ঘুরে বেরাচ্ছে। একাধিক বুথে বিজেপি এজেন্টদের বসতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকী, কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও ভয় দেখানো হচ্ছে। তাদের বুথ ছাড়া করা হয়েছে। এ প্রেক্ষিতেই তার দাবি, "সিআরপিএফ জওয়ানকে ভাগিয়ে দিয়েছে। ওদের জিজ্ঞেস করব, আপনাদের বন্দুকগুলো কখন কাজে আসবে?" পাশাপাশি কমিশনকে আরও দ্রুত পদক্ষেপের কথা বলেছেন তিনি। একইসঙ্গে পুনর্নির্বাচনের দাবিও জানিয়েছেন বিস্তা।
তাঁর এহেন মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। বিজেপি প্রার্থীর এহেন মন্তব্য শীতলকুচির কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে বলে মত রাজনীতিকদের একাংশের। বিস্তার মন্তব্যের সমালোচনা করে তৃণমূল নেতা তথা শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, "ওদের সাসংদ বন্দুক ব্যবহার করতে বলছে। মানুষের রক্তের উপর দিয়ে ভোট করতে চাইছে। আমরা শান্তিপূর্ণ ভোট চাই।"
[আরও পড়ুন: বুলেটে ব্যালট রোখার ছক জেহাদিদের! ভোটের কাশ্মীরে খতম লস্কর জঙ্গি]
এদিকে বিজেপি সাংসদকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলকর্মীরা। তাঁর বিরুদ্ধে বুথে ঢোকার অভিযোগ। সকালে বালুরঘাটে সুকান্ত মজুমদারকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখিয়েছিল তৃণমূল কর্মীরা। গো ব্যাক স্লোগানও দিয়েছিলেন তাঁরা। পালটা তাঁদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে রাজ্য বিজেপি সভাপতির বিরুদ্ধে। সবমিলিয়ে বিক্ষিপ্ত বিক্ষোভ ছাড়া দ্বিতীয় দফার ভোট আপাতত শান্তিপূর্ণ।