সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা যোদ্ধা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপরে হামলা করলে সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে পাঁচ বছরের জেল। এই মর্মে শনিবার রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) পাশ হয়ে গেল নতুন বিল। মহামারী রোগ (সংশোধনী) বিল, ২০২০ (Epidemic Diseases (Amendment) Bill, 2020) নামের এই বিল এদিন সংসদের উচ্চ কক্ষে পেশ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। গত ২২ এপ্রিল ইস্যু হওয়া এক সরকারি অর্ডিন্যান্সকে সংশোধন করে নয়া আইন বলবৎ করার উদ্দেশ্যেই এই বিল।
এই বিলে বলা হয়েছে, বর্তমান মহামারীর সময়ে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কোনও কর্মীর প্রতি কোনও রকম হেনস্থা মেনে নেওয়া হবে না। এপ্রিলে এই সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্স আনা হয়েছিল৷ মহামারী রোগ আইন, ১৮৯৭-এর সংশোধন (Epidemic Diseases Act, 1897) করে ওই অর্ডিন্যান্স পাশ করানো হয়েছিল মহামারীর সময়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের উপরে হওয়া হামলা ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচানোর জন্য।
[আরও পড়ুন: মোদির অনুপ্রেরণাই ভারতের করোনা যুদ্ধে বড় ভূমিকা নিয়েছে, দাবি কেমব্রিজের সমীক্ষায়]
করোনা সংক্রমণ মহামারীর আকার নেওয়ার পর থেকেই সারা দেশে স্বাস্থ্যকর্মীদের নানা ভাবে হেনস্তা করার ঘটনা সামনে এসেছে। কোথাও হামলা কিংবা সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগ যেমন এসেছে, তেমনই নিজের এলাকায় করোনা যোদ্ধাদের ঢুকতে না দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এই ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য কেন্দ্রের তরফে এই অর্ডিন্যান্স পাশ করানো হয়েছিল। অবশেষে বিল পাশ করে এই অর্ডিন্যান্সকে আইনে পরিণত করতে পদক্ষেপ করল কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: ‘পাড়ার আন্টির মতো দেখতে বলেই আমাকে নিয়ে এত রসিকতা’, বিরোধীদের তোপ নির্মলার]
বিলে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মী বা চিকিৎসকদের শারীরিক হেনস্তা ছাড়াও কোনও চিকিৎসা কেন্দ্র, কোয়ারান্টাইন কেন্দ্র অথবা মহামারীর চিকিৎসায় ব্যবহৃত কোনও স্থানে ভাঙচুর করলেও শাস্তি হবে।
নয়া বিল অনুসারে এই ধরনের কোনও অভিযোগ এলে ইন্সপেক্টর পর্যায়ের কোনও আধিকারিক বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন ৩০ দিনের মধ্যে। বিচার শেষ করতে হবে এক বছরের মধ্যে। তবে আদালত চাইলে কোনও লিখিত কারণের ভিত্তিতে বিচারের সময়সীমাকে বর্ধিত করতে পারে। অপরাধ প্রমাণিত হলে তিন মাস থেকে পাঁচ বছরের জেল হতে পারে। সেই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা।
The post করোনা যোদ্ধাদের উপরে হামলা করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল, রাজ্যসভায় পাশ নয়া বিল appeared first on Sangbad Pratidin.