সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী চার মাসের মধ্যে অযোধ্যায় তৈরি হবে রাম মন্দির। ঝাড়খণ্ডের পাকুরের জনসভায় দাঁড়িয়ে এমনই ঘোষণা করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
গত ৯ নভেম্বর অযোধ্যার বিতর্কিত জমি নিয়ে ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, বিতর্কিত জমিতেই হবে রাম মন্দির। তার জন্য তিন মাসের মধ্যে একটি ট্রাস্ট গড়তে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। এবং মুসলিম ওয়াকফ বোর্ডকে অযোধ্যাতেই আলাদা করে পাঁচ একর জমি দিতে হবে মজসিদ তৈরির জন্য। এরপর থেকেই জল্পনা শুরু হয়, কবে শেষ হবে বহু প্রতীক্ষিত রাম মন্দিরের কাজ? কবে দরজা খুলে শুরু হবে রামলালার পুজো? এবার সেই প্রশ্নের উত্তরই দিলেন অমিত শাহ। সোমবার পাকুরের জনসভায় বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি বলে দেন, আগামী চার মাসের মধ্যেই রাম মন্দির তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাবে। তাঁর কথায়, “সুপ্রিম কোর্ট তার রায় শুনিয়ে দিয়েছে। এবার চার মাসের মধ্যে অযোধ্যায় আকাশচুম্বী রাম মন্দির তৈরি হবে।”
[আরও পড়ুন: ‘জীবিত থেকে ধর্ষকদের দেখতে হচ্ছে না মেয়েকে, এতেই খুশি’, চোখে জল নির্ভয়ার মায়ের]
সুপ্রিম কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পালটা আবেদন করা হয়। মোট ১৮টি রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। কিন্তু সবকটি আবেদনই খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। অর্থাৎ রাম মন্দির তৈরিতে আর কোনও বাধা নেই। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ মামলা খারিজ করার দিন চারেক পরই রাম মন্দির নিয়ে বড়সড় ঘোষণা করলেন অমিত শাহ।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অযোধ্যায় রাম মন্দির গড়ার দায়িত্ব রাম জন্মভূমি ন্যাসের তত্ত্বাবধানে তৈরি নতুন ট্রাস্টের। সেই ট্রাস্টের সভাপতি হওয়ার জন্য যোগী আদিত্যনাথের নাম প্রস্তাব করেছিল রাম জন্মভূমি ন্যাস। ন্যাসের এক সূত্র জানাচ্ছে, মন্দির তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় শিলার অধিকাংশই তৈরি আছে। তৈরি আছে নকশাও। প্রশাসনিক পর্ব শেষ হলেই ৬৭ একর জমির উপর মন্দির তৈরির কাজ শুরু হতে সময় লাগবে না। তবে, অযোধ্যায় রাম মন্দির গঠন আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ হিসেব করে বলেছিল, মন্দির তৈরি হতে সময় লাগবে ন্যূনতম চার বছর। অর্থাৎ মন্দিরের কাজ শেষ হতে হতে ২০২৪ সাল। তবে অমিত শাহর মন্তব্যের পর সে কাজ আগামী বছরেই শেষ হওয়ার ইঙ্গিত মিলল।
[আরও পড়ুন: ভুয়ো নথি দেওয়ার জের, বাতিল আজম খানের ছেলের বিধায়ক পদ]
The post চার মাসের মধ্যেই তৈরি হবে রাম মন্দির, ঝাড়খণ্ডের সভায় বড়সড় ঘোষণা অমিত শাহর appeared first on Sangbad Pratidin.