সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশের জালে পড়ে নাজেহাল ডেরার মক্ষীরানি হানিপ্রীত ইনসান। তারই কথায় ফাঁস হচ্ছে বুজরুক রাম রহিমের একের পর এক কীর্তি। গোয়েন্দাদের ধোঁকা দিতে বারবার বয়ান বদলাচ্ছে ধর্ষক বাবার পালিতা কন্যা। তবে তার সব জারিজুরি ভেস্তে গিয়েছে তদন্তকারীদের সামনে। এমনই এক রিপোর্টে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ওই রিপোর্ট মোতাবেক পঞ্চকুলা হিংসার ‘মাস্টারমাইন্ড’ হানিপ্রীত।
আগস্ট মাসে ধর্ষণের অপরাধে ২০ বছরের জেলের সাজা হয় ডেরা সাচা সওদা প্রধান গুরমিত রাম রহিম ইনসানের। সাজা ঘোষণার পরই জ্বলে উঠে হরিয়ানার পঞ্চকুলা। মৃত্যু হয় অন্তত ৩৫ জনের। আহত হন শতাধিক। ওই হিংসা সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের দাবি, পঞ্চকুলা হিংসা পূর্বপরিকল্পিত ছিল। আর সবটাই হয়েছিল হানিপ্রীতের ইশারায়। ডেরার এক সমর্থককে প্রায় দেড় কোটি টাকা দিয়ে হিংসা ছড়ানোর জন্য লোকজন জোগাড় করতে বলেছিল হানিপ্রীত।
[শুধু ‘বাবা’ নয়, আশ্রমের শিষ্যদের সঙ্গেও শারীরিক সম্পর্ক ছিল হানিপ্রীতের!]
রাম রহিমের সাজার পর ক্রমশ ডেরার বেআইনি কারবারের উপর লাগাম কসতে শুরু করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হয়েছে ডেরার একাধিক সদস্য। তাদের মধ্যে রয়েছে হানিপ্রীতের আপ্ত-সহায়ক রাকেশ কুমার। প্রথমদিকে মুখ না খুললিও অবশেষে পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়ে রাকেশ। তদন্তকারীদের সে জানায়, পাঁচকুলায় হিংসা উসকে দিতে সেখানকার ডেরা প্রধান চামকৌর সিংকে নির্দেশ দেয় হানিপ্রীত। এই কাজের জন্য লোকজন ও বোমা-বারুদ মজুত রাখতে চামকৌরকে প্রায় দেড় কোটি টাকা দেয় হানিপ্রীত।
শুক্রবার এক বয়ানে পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল জানায় তাঁদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে হানিপ্রীত। তার বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে। আগস্টের ২৫ তারিখে পঞ্চকুলা হিংসার সঙ্গে তার কোনও যোগ নেই বলে দাবি করছে রাম রহিমের পালিতা কন্যা। তাই সত্য জানতে নারকো টেস্টের কথা ভাবছেন তদন্তকারীরা। ডেরার অনেক বেআইনি ব্যবসা সংক্রান্ত গোপন তথ্য রয়েছে হানিপ্রীতের কাছে বলেই মনে করছে পুলিশ। তবে হানিপ্রীতের অসহযোগিতায় তদন্তের গতি কিছুটা হলেও থমকে যাচ্ছে।
[মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পদ্ধতি বদল নিয়ে কেন্দ্রকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের]
The post হরিয়ানায় হিংসার নেপথ্যে হানিপ্রীত, ফাঁস চক্রান্তের ‘ব্লু-প্রিন্ট’ appeared first on Sangbad Pratidin.