নন্দন দত্ত, সিউড়ি: রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে অগ্নিদগ্ধ হয়ে আটজনের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের উপর বড়সড় কোপ পড়ার আশঙ্কা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) গ্রামে গিয়ে পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন পুলিশের ভূমিকায় তিনি ক্ষুব্ধ। রামপুরহাট থেকে মমতা ফেরার পরই খবর ছড়িয়ে পড়ে, বীরভূমের ‘দাবাং’ পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠিকে (Nagendra Tripathy) সাসপেন্ড করা হচ্ছে। যদিও এ নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে চূড়ান্ত বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। একাংশের দাবি, নগেন্দ্র ত্রিপাঠির বদলে বীরভূমের নতুন এসপি (SP) হতে চলেছেন ধৃতিমান সরকার। আরেক অংশের মত, এখনও সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তিনি বদলি হতে পারেন বলেও খবর।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের বিশেষ দায়িত্বে ছিলেন আইপিএস নগেন্দ্র ত্রিপাঠি। স্পর্শকাতর এবং হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রামে সুরক্ষার দায়িত্ব তাঁর কাঁধে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। ভোটের দিন বয়ালের একটি বুথে কারচুপির অভিযোগ পেয়ে সেখানে নিজে যান মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। সেখানে আইপিএস নগেন্দ্র ত্রিপাঠির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বাদানুবাদ চলে। তাতে নগেন্দ্র ত্রিপাঠি নিজের উর্দির সম্মান বাঁচানোর সংকল্প করে বলেছিলেন, ”উর্দিতে দাগ নেব না।” তাঁর দায়িত্ববোধে সন্তুষ্ট হন মুখ্যমন্ত্রী। পরে তাঁকে রাজনৈতিকভাবে উত্তপ্ত বীরভূমের পুলিশ সুপার পদে আনা হয়।
তবে রামপুরহাটের (Rampurhat Incident) বগটুইতে ৮ জন নিরীহ মানুষের অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়ে এসপি নগেন্দ্র ত্রিপাঠির ভূমিকা। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে তাঁর নেতৃত্বাধীন জেলা পুলিশের বিরুদ্ধে। সাসপেন্ড করা হয়েছে আইসিকে, কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠানো হয়েছে এসডিপিওকে। ফলে সন্ধের দিকে যখন তাঁর সাসপেনশনের খবর ছড়ায়, তখন অনেকেই অবাক হননি। যদিও এই সিদ্ধান্ত নিয়ে চরম বিভ্রান্তি তৈরি হয় প্রশাসনিক মহলে। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের দাবি, এসপি নগেন্দ্র ত্রিপাঠিকে বদলি করা হয়েছে। তাঁর জায়গায় বীরভূমের পুলিশ সুপারের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বাঁকুড়ার এসপি ধৃতিমান সরকারকে।