সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতবছর তাঁর নেতৃত্বে আইপিএল জিতেছে কেকেআর। তা সত্ত্বেও এবার নাইটদের রিটেনশন তালিকায় নেই শ্রেয়স আইয়ার। মাঝে তাঁর অফফর্ম নিয়েও বিস্তর চর্চা হয়েছে। কিন্তু এবার রনজি ট্রফিতে ওড়িশার বিরুদ্ধে দ্বিশতরানের দুরন্ত ইনিংস দিয়ে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করলেন শ্রেয়স। অন্যদিকে অনুষ্টুপের শতরানে কর্ণাটকের বিরুদ্ধে বড় ইনিংস গড়েছিল বাংলা। বোলাররাও দিনের শেষে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।
রনজি ট্রফির দ্বিতীয় ম্যাচে মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধেও সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন শ্রেয়স। এক ম্যাচ বিশ্রাম নিয়ে ফের নামলেন কর্ণাটকের বিরুদ্ধে। আর এদিন ঘরের মাঠে তিনি করলেন ২৩৩ রান। সিদ্ধেশ লাডের সঙ্গে জুটি বেঁধে মুম্বইকে পৌঁছে দেন ৬০২ রানের পাহাড়চূড়ায়। সিদ্ধেশ করেন ১৬৯ রান। রিটেন না হওয়া আরেক নাইট ক্রিকেটার অঙ্গকৃশ রঘুবংশী ৯২ রান করেন। প্রায় ৮ বছর পর রনজিতে দ্বিশতরান হাঁকালেন শ্রেয়স। সেই সঙ্গে নির্বাচকদের জন্য বার্তা দিয়ে রাখলেন। জবাবে ওড়িশার রান ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৬।
অন্যদিকে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাংলাকে বড় রানে পৌঁছে দিয়েছিলেন অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার। শেষ পর্যন্ত বাংলা থামে ৩০১ রানে। তবে অনুষ্টুপ ও শাহবাজ আহমেদ ছাড়া কেউই বড় রান পাননি। শাহবাজ করেন ৫৯ রান। মরশুম শেষে অবসরের ঘোষণা করা ঋদ্ধিমান সাহা আউট হয়ে যান মাত্র ৬ রানে। সাড়ে তিনশো রানের লক্ষ্য থাকলেও সেটা পূরণ হয়নি। তার পরও বল হাতে বাংলাকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন সুরজ সিন্ধু, ঋষভ বিবেকরা। দুজনেই তুলে নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। এক উইকেট ঈশান পোড়েলের। দ্বিতীয় দিনের শেষে কর্ণাটকের রান ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান। বাংলা এগিয়ে আছে ১৪৬ রানে।
তিন ম্যাচ থেকে বাংলার সংগ্রহ মাত্র ৫ পয়েন্ট। এর মধ্যে বিহারের সঙ্গে ম্যাচটি বৃষ্টির জন্য বাতিল হয়ে যায়। তার পর কেরলের সঙ্গেও বাধ সাঁধে বৃষ্টি। ফলে পরের রাউন্ডে উঠতে এই ম্যাচে জয় প্রয়োজন অনুষ্টুপদের।