সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাদিয়া মামলার পর ফের শিরোনামে ‘ভগবানের নিজের দেশ’। সম্প্রতি ‘লাভ জেহাদ’ ইস্যুতে দেশ জুড়ে চলছে তরজা। তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। এই প্রেক্ষাপটেই ফের কেরলে প্রকাশ্যে এল জোর করে ধর্মান্তকরণের এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। এবার কেরল হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বছর পচিশের এক বধূ। ‘লাভ জেহাদের’ অভিযোগ এনে আদালতে নিজের বিয়ে খারিজ করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
[বারণ না শুনে যোগ শেখানোর ফল, মুসলিম শিক্ষিকার বাড়িতে হামলা]
সদ্য আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করে ওই মহিলা জানান, প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয় অভিযুক্ত। তারপর মিলনের ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাঁকে বিয়ে করে সে। অভিযোগ বারবার আপত্তি জানানো সত্ত্বেও বারবার তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। যৌনদাসী বানানো হয় তাঁকে। বাধ্য করা হয় ইসলাম গ্রহণ করতে। এমনকী তাকে সিরিয়ায় নিয়ে গিয়ে ইসলামিক স্টেটের কাছে যৌনদাসী হিসেবে বিক্রি করার পরিকল্পনাও ছিল তাঁর স্বামীর। তাই এই অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতের কাছে তাঁদের বিয়ে খারিজ করে দেওয়ার আবেদন জানান নির্যাতিতা।
জন্মসুত্রে মালয়ালি ওই মহিলা আদতে গুজরাটের বাসিন্দা। পিটিশনে তিনি জানান, বেঙ্গালুরুতে পড়াশুনার সময় তাঁর পরিচয় হয় অভিযুক্তর সঙ্গে। ক্রমশ আলাপ গড়ায় ঘনিষ্ঠতায়। তৈরি হয় শারীরিক সম্পর্ক। একসময় লুকিয়ে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও বানায় ওই ব্যক্তি। তারপর ব্ল্যাকমেল করে তাঁকে বিয়ের জন্য বাধ্য করা হয়। বিয়ের পর তাঁরা সৌদিআরব চলে যায়। সেখান থেকে ৯ অক্টোবর সিরিয়া যাওয়ার মতলব করে তাঁর স্বামী। সেখানেই আইএস জঙ্গিদের কাছে তাঁকে যৌনদাসী হিসেবে বিক্রির পরিকল্পনা ছিল তার। ওই কথা জানতে পেরেই গোপনে বাবা-মার সঙ্গে যোগাযোগ করে ৫ অক্টোবর আমেদাবাদ পালিয়ে আসেন ওই মহিলা।
আদালতকে নির্যাতিতা আরও জানান, কেরলে ‘লাভ জেহাদ’ চালাচ্ছে ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’ নামের একটি ইসলামিক সংগঠন। উল্লেখ্য, হাদিয়া মামলার পর কেরলে ‘লাভ জেহাদের’ মামলায় তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ওই রাজ্যে জোর করে ধর্মান্তকরণের প্রায় নব্বইটি মামলা প্রকাশ্যে এসেছে।
[দিল্লির হাওয়া বিষিয়ে তুলছে পাকিস্তান, চাঞ্চল্যকর দাবি বিজ্ঞানীদের]
The post ‘আমাকে ধর্ষণের পর ধর্মান্তরিত করা হয়’, আদালতকে জানাল বধূ appeared first on Sangbad Pratidin.