সন্দীপ চক্রবর্তী: নব মহাকরণের বন্ধ ঘরে মিলল গুপ্তধনের সন্ধান। অন্তত পৌনে দু’শো বছরের ঐতিহাসিক সামগ্রী। ১৯৭৪ সালের একটি ফাইলের তথ্য তালাশের করতে গিয়েই কার্যত খুলে গেল ‘আলিবাবার রত্ন সমৃদ্ধ গুহার দরজা’। উদ্ধার হল অষ্টম এডওয়ার্ডের সময়ের চারটি স্বর্ণ খচিত তরবারি। সম্ভবত তাঁরই ব্যবহার করা।
আরও একাধিক মূল্যবান সামগ্রী পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, তৎকালীন যুক্তরাজ্যের সম্রাটের ব্যবহার করা বহু চর্চিত সোনার বোতাম যুক্ত জামা। একটি ট্রাঙ্ক থেকে উদ্ধার সম্রাট ও তাঁর স্ত্রী ওয়ালিস সিম্পসনের ছবি। ওই ছবি দু’টিও প্রচলিত ছবির থেকে স্বতন্ত্র। মিলেছে সম্রাটের ব্যবহার করা জুতো, আরও কিছু দুষ্প্রাপ্য সামগ্রী। তরবারিগুলির উপর অংশ খাঁটি সোনার। সব মিলিয়ে সোনার সামগ্রীরই বাজার মূল্য অন্তত দশ কোটি টাকা।
সন্ধান মিলেছে আরও চারটি সিন্দুকের। সেগুলি সব তালাবন্দি। তালা ঘোরালেই আওয়াজ আসছে ভিতর থেকে। শনিবার খোলা হয় নব মহাকরণের নিচতলার পাঁচ নম্বর ঘরের চাবি।
অনুমান, ব্রিটিশ আমলের এই মূল্যবান জিনিসগুলি মিউজিয়ামে যাওয়ার কথা ছিল। কোনওভাবে এই ঘরে চলে আসে।
[আরও পড়ুন: খড়গপুরে বাজিতে আহত কুকুরকে আনা হল কলকাতায়, চিকিৎসার দায়িত্বে মানেকা গান্ধীর সংস্থা]
নব মহাকরণের ঘরটি সাম্প্রতিক কালে যে খোলা হয়নি সেটা স্পষ্ট। চাবি খুলতে বিশেষজ্ঞদের ডাকতে হয়। কারণ ওই অফিসের চাবির গোছায় ঘরের চাবি ছিল না। ঘরটি খোলার সময় দায়িত্বে থাকা বিচার বিভাগের কর্তারা ছাড়াও ছিলেন পুলিশকর্তারা। পুরাতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ ছাড়াও ডাকা হয় বন দপ্তরের অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে। সিন্দুক খোলার জন্য আগেভাগেই নামী সংস্থাকে বলে রাখা হয়।
জানা গিয়েছে, ডেভিড পঞ্চম জর্জের মৃত্যুর পর সিংহাসনে বসেন এডওয়ার্ড অ্যালবার্ট ক্রিশ্চিয়ান জর্জ অ্যান্ড্রিউ প্যাট্রিক। প্রথা ভাঙার রাজা ছিলেন তিনি। ওয়ালিস সিম্পসনকে বিয়ের কারণে ছেড়েছিলেন সিংহাসন। ১৯৩৬ সালের জানুয়ারিতে ভারতের দায়িত্ব নেন। সম্রাট হিসেবে এই দায়িত্বে ছিলেন ওই বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে তাঁর ব্যবহার্য জিনিস কীভাবে এল, সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটানোর চেষ্টা চলছে।