বিধান নস্কর: রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় ফের অভিযানে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। মঙ্গলবার সকালে সল্টলেক-সহ শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির গোয়েন্দারা বলে খবর।
জানা গিয়েছে, সল্টলেকের আই বি ব্লকে বিশ্বজিৎ দাস নামে একজনের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। ইডি সূত্রে খবর, এই বিশ্বজিৎ দাস বনগাঁর বাসিন্দা। রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত শঙ্কর আঢ্যর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এর নাম উঠে আসে। এর পরই আজ সকাল ৭টা নাগাদ বিশ্বজিৎ দাসের সল্টলেকের বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। শেষ পাওয়া তথ্য মোতাবেক, বন্দর, বাগুইআটি এলাকারও কয়েকটি জায়গায় বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে হানা দিয়েছেন ইডি আধিকারিকেরা। তদন্তকারীদের সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও।
উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতি মামলায় বাকিবুরের গ্রেপ্তারির পরই ইডির নজর পড়ে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের উপর। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর গত অক্টোবর মাসে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর এক সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ দুই তৃণমূল নেতা শংকর আঢ্য ও শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হাজির হয় ইডি। সন্দেশখালির দাপুটে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শাহজাহানের নাগাল না পেলেও টানা জেরার পর গ্রেপ্তার করা হয় শংকরকে। বর্তমানে ইডি হেফাজতে রয়েছেন তিনি। গোয়েন্দাদের নজর রয়েছে শংকরের পরিবারের উপরও।
[আরও পড়ুন: ১০০ দিনের বকেয়ার দাবি, সন্দেশখালির পথে আটকে পড়ল রাজ্যপালের কনভয়]
আগেই ইডি গোয়েন্দারা জানিয়েছিলেন, মধ্যপ্রাচ্য থেকে মূলত বাংলাদেশ হয়ে পাচার হওয়া সোনার বিস্কুট বা সোনার বাটের একটি বড় অংশ এসে পৌঁছয় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ ও তার আশপাশের অঞ্চলে। ওই সোনা পাচারের অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ ছিল শংকর আঢ্যর হাতে। অভিযোগ, সোনা পাচারকারীদের মাধ্যমে শংকরই বনগাঁ থেকে ওই সোনা কখনও ট্রেন, আবার কখনও বা সড়কপথে পাচার করতেন কলকাতায়। সেই সোনা তাঁরই এক আত্মীয়ের লোকজন কলকাতায় বসে নিতেন।
[আরও পড়ুন: সন্দেশখালি নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী, কী বললেন?]
দেখুন ভিডিও: