সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: রেশন দুর্নীতি মামলায় সোমবার সকাল থেকে কলকাতা-সহ উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। ২০ থেকে ২১ ঘণ্টা বসিরহাট, বারাসত, রাজারহাটের একাধিক অফিস, ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে একাধিক নথি হাতে এসেছে বলে দাবি ইডির। তাঁর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ও সোনার বিস্কুট। সেসবের উৎস জানতে চান তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বারিক বিশ্বাসকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) তলব করা হয়েছে। অন্যদিকে, বেড়াচাপার ব্যবসায়ী মুকুল ও আনিসুর রহমানের বাড়িতেও সোমবার তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁদেরও ডেকে পাঠানো হয়েছে ইডি দপ্তরে।
ভোট মিটতেই রেশন দুর্নীতি মামলার (Ration Scam) কিনারা করতে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে ইডি। সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ রাজারহাট, বসিরহাটে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বারিক বিশ্বাসের বাড়ি, কার্যালয়ে তল্লাশি চলে। রাত ১১টা নাগাদ তাঁরা বেরিয়ে যান। সূত্রের খবর, বারিক বিশ্বাসের রাজারহাটের (Rajarhat) ফ্ল্যাট থেকে নগদ প্রায় ২০ লক্ষ টাকা এবং বেশ কয়েকটি সোনার কয়েন উদ্ধার হয়। উল্লেখ্য, এই বারিক বিশ্বাস কয়েকবছর আগে সোনা পাচারের অভিযোগে জেলে ছিলেন। সম্ভবত সেই সূত্রেই তাঁর কাছে সোনার কয়েন রয়েছে। তবে এসবের উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সদুত্তর মেলেনি বলে ইডি (ED) সূত্রে খবর। সেই কারণে তাঁকে দপ্তরে তলব করেছে ইডি। শুক্রবার তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: স্বমৈথুনে ফল বা সবজি ব্যবহার করছেন? জেনে নিন এই পদ্ধতি কতটা নিরাপদ]
অন্যদিকে, দেগঙ্গার (Deganga) বেড়াচাপার মুকুল রহমান ও আনিসুর রহমানের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি। তাঁরা সম্পর্কে রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে ধৃত বাকিবুরের আত্মীয়। তাঁদের দুজনের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, বেড়াচাপা, দেগঙ্গায় রহমানদের ডিএলএড, বিএড কলেজ ছাড়াও আবাসিক মিশন রয়েছে। সেসবের আয়ের উৎস কী, তা জানতে চেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁদেরও ইডি দপ্তরে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। মুকুল ও আনিসুরদের দাবি, তাঁরা এই তদন্তে সহযোগিতা করবেন।