সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যাংকিং সেক্টরে একের পর এক প্রতারণার ঘটনা ঘটছে। সেই প্রতারণা রুখতে ব্যাংকগুলির সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করতে উদ্যোগ নিল রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। লেটার অফ ক্রেডিট কিংবা কোর ব্যাংকিং সিস্টেমের ব্লক চেন ব্যবস্থা ব্যবহার করে কীভাবে এই প্রতারণা রোখা যায় তার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
বিজয় মালিয়া থেকে নীরব মোদি কিংবা ওয়াধওয়ান– একের পর এক ব্যাংক প্রতারণার ঘটনা। বিশেষত ঋণ নিয়ে ফেরার হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা একের পর এক। পলাতক ঋণগ্রাহকদের হদিশ মিলছে না সংবাদমাধ্যম ছাড়া অন্য কোথাও। কারণ অধিকাংশই পালিয়ে যাচ্ছেন দেশের সীমা ছেড়ে। তাই ঋণ দেওয়ার আগেই যদি সমস্ত আটঘাট বেঁধে রাখা যায় তার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর জন্য প্রধানত স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া, এইচডিএফসি এবং আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের সঙ্গে হাত মেলাল আরবিআই।
[আরও পড়ুন: ১০ বছর পর GTA নির্বাচন, উৎসবের মেজাজে ভোটগ্রহণ শুরু শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ-সহ ৬ পুর ওয়ার্ডে]
যদিও এই পাইলট প্রকল্পে অ্যাক্সিস ব্যাংক, ব্যাংক অফ বরোদা এবং ইউনিয়ন ব্যাংক অফ ইন্ডিয়াকেও সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। এই পাইলট উদ্যোগে ব্লক চেন ব্যবস্থায় নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টগুলি থেকে কোন খাত থেকে কোন খাতে টাকার লেনদেন হচ্ছে তার হদিশ রাখা সম্ভব হবে। এর জন্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রেও বিশেষ কয়েকটি সংস্থার সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। বেলজিয়াম ভিত্তিক সংস্থা সেটলমেন্ট, মার্কিন সংস্থা কোর্ডা টেকনোলজিস এবং আইবিএম এই প্রকল্পে আরবিআইয়ের সঙ্গে কাজ করছে বলে সূত্রের খবর।
বহু ক্ষেত্রেই লেটার অফ ক্রেডিট বা এলসি-তে কারচুপি করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ব্লক চেন পদ্ধতি এটিকে আটকাতে পারবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা। উল্লেখ্য, বিজয় মালিয়া, মেহুল চোক্সি, নীরব মোদিদের মতো শিল্পপতিরা বিপুল সংখ্যক ঋণ নিয়ে দেশ ছেড়েছেন। অনেক চেষ্টার পরও ফেরানো যায়নি তাঁদের। এই ধরনের প্রতারণা যাতে আর না হয় তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ করতে চাইছে আরবিআই।