সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিদায়ী গর্ভনর৷ তাঁর দায়িত্ব ছাড়া নিয়ে কম জল্পনা দানা বাঁধেনি৷ কেন্দ্রের শাসকদলের চাপেই যে পদ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন তিনি, এ প্রসঙ্গ উঠে এসেছে বারবার৷ তবে নিজে মুখে তা কখনও স্বীকার করেননি৷ নতুনের হাতে রাজ্যপাট ছেড়ে যাওয়ার মুহূর্তে কিন্তু প্রকারন্তরে রাজনৈতিক চাপের কথা খোলসাই করে দিলেন রঘুরাম রাজন৷ জানালেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের স্বাধিকারে যেন হস্তক্ষেপ না করা হয়৷
কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের স্বাধীনতা বিষয়ে বলতে গিয়ে এ প্রসঙ্গ তোলেন রাজন৷ এবং, সেই সঙ্গেই যেন জানিয়ে দিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতো প্রতিষ্ঠানের আসল সমস্যাটি ঠিক কোথায়৷ প্রতিষ্ঠান হিসেবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের যে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা আছে এবং তা যে সরকারি কারণেই এদিন খোলাখুলিই সে কথা স্বীকার করে নেন রাজন৷ তাঁর পূর্বসূরির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি জানান, তিনি এই সীমা ছাড়াতে চেয়েছিলেন৷ সরকারের ইচ্ছেমতো সিদ্ধান্তে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের যে না বলার অধিকার, তা সংরক্ষিত করতে চেয়েছিলেন রাজনের পূর্বসূরি ডি সুব্বারাও৷ রাজন নিজেও তা করতে চেষ্টা করেছিলেন৷ রাজনৈতিক মহলের ধারণা, দেশের অর্থনীতি নিয়ে তাঁর মতাদর্শের সঙ্গে সরকারি মতের অমিল হওয়ার কারণেই কোণঠাসা হতে হয় রাজনকে৷ আর তাই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চান তিনি৷ তবে বিদায়ের প্রাকলগ্নে রাজন জানিয়ে দিয়ে গেলেন, এই স্বাধিকার রক্ষিত না হলে সমস্যা কিন্তু থেকেই যাবে৷
৪ সেপ্টেম্বর সরকারিভাবে দায়িত্ব ছাড়ছেন রাজন৷ তাঁর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন উর্জিত প্যাটেল৷ চলে যাওয়ার ঠিক আগে সরকারি মত ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিজস্ব কর্মধারার মধ্যে সমণ্বয়ের বার্তাটি যেন কৌশলে উত্তরসূরিকে দিয়ে গেলেন বিদায়ী গভর্নর৷
The post সরকারকে না বলার অধিকার থাকুক রিজার্ভ ব্যাঙ্কের: রাজন appeared first on Sangbad Pratidin.