দিল্লি ক্যাপিটালস উইমেন: ১১৩/১০
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর: ১১৫/২
৮ উইকেটে জয়ী রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইপিএলের ইতিহাসের দীর্ঘ ১৬টা বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু ট্রফি অধরাই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। একাধিক বার তীরে এসে তরী ডুবেছে বিরাট কোহলি অ্যান্ড কোংয়ের। স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে লাখো লাখো ভক্তর। ফের একবুক আশা নিয়ে পরবর্তী মরশুমে তাঁরা বসেছেন টিভির পর্দার সামনে। কিন্তু ভাগ্যে জুটেছে সেই হতাশাই। কোহলিরা যা পারেননি, তা দ্বিতীয় মরশুমেই করে দেখালেন স্মৃতি মন্ধানারা। দ্বিতীয়বার ফাইনালে পৌঁছেই চ্যাম্পিয়ন মহিলা আরসিবি টিম। নিঃসন্দেহে যা ব্যাঙ্গালোরের অনুরাগীদের দীর্ঘদিনের ক্ষতে মলমের মতোই আরামদায়ক।
[আরও পড়ুন: বাংলায় আসনরফা চূড়ান্তর পথে বাম-কংগ্রেস! শেষমুহূর্তেও পুরুলিয়া নিয়ে দড়ি-টানাটানি]
গতবার ফাইনালে পৌঁছলেও চূড়ান্ত লড়াইয়ে হরমনপ্রীত কৌরের মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে পরাস্ত হয় ব্যাঙ্গালোর। রানার্স-আপ হয়েই টুর্নামেন্ট শেষ হয় দলের। তবে সেই হতাশা কাটিয়ে এবারও শুরু থেকে দুরন্ত ছন্দে ধরা দিয়েছিলেন রিচা ঘোষ, এলিস পেরিরা। ফাইনালে দিল্লির ঘরের মাঠেও যার ব্যতিক্রম হল না।
রবিবাসরীয় ফাইনালে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় প্রথমবার ফাইনালে ওঠা দিল্লি। শুরুটা মন্দ করেনি তারা। কিন্তু অষ্টম ওভারে যাবতীয় পার্থক্য গড়ে দেন সোফি মলিনেক্স। একই ওভারে তিন উইকেট খুইয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে যায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দিল্লি ক্যাপিটালস। একধাক্কায় নেমে যায় রানরেটও। এর পর শ্রেয়াঙ্কা পাতিলের ঝোড়ো বোলিংয়ে কার্যত তছনছ হয়ে যায় প্রতিপক্ষ। ১২ রান দিয়ে তিনটি উইকেট তুলে নেন তিনি। জোড়া উইকেট পকেটে পোরেন আশা সোভানা। আর এতেই ১১৩ রানে গুটিয়ে যায় হোম ফেভারিটরা।
জবাবে মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই ফাইনাল জিতে নেন মন্ধানারা। ক্যাপ্টেন নিজে খেলেন ৩১ রানের ইনিংস। ৩২ রানে সোফি ডিভাইন প্যাভিলিয়নে ফিরলে পেরি (৩৫*) ও বাংলার রিচার (১৭*) অনবদ্য পার্টনারশিপে দিল্লিকে হাসতে হাসতে হারিয়ে দেয় আরসিবি। আইপিএল শুরুর আগে প্রমিলাবাহিনীর এহেন পারফরম্যান্স থেকে কি শিক্ষা নেবেন ফ্যাফ ডু প্লেসিরা? মহিলা দল চ্যাম্পিয়ন হতেই কিন্তু বিশেষ বার্তা পাঠিয়েছেন প্রাক্তন কর্ণধার বিজয় মালিয়া। এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, "মহিলা দলকে অনেক অভিনন্দন। আরসিবির ঘরে ডবল ট্রফি এসে আরও ভালো লাগবে। পুরুষ দলকে শুভেচ্ছা।"