সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলা অন্যান্য ফলের তুলনায় দামে সস্তা হলেও পুষ্টিগুণের দিক দিয়ে মোটেও পিছিয়ে নেই। বরং এর মধ্যে অধিক পরিমানে পটাশিয়াম থাকায় এটা রক্তচাপ ও হৃদরোগের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু শুধুমাত্র কলাই নয়, কলার খোসার মধ্যেও যে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ অনেকেই জানেন না। তাই এবার থেকে কলা খেয়ে খোসা ফেলে দেওয়ার আগে পড়ুন এই প্রতিবেদন।
ভাবছেন খোসা তো রেখে দেব। কিন্তু কী কাজে লাগবে সেই খোসা? আর কীভাবেই বা সেটা ব্যবহার করব?
ধরুন আপনার ব্রণ হয়েছে আর আপনি চান সেই ব্রণকে তাত্ক্ষণিকভাবে দূর করতে। তবে এক্ষেত্রে কলার খোসা অব্যর্থ। কলার খোসার ভেতরের অংশটি ব্রণর উপরে ঘষলে কিছুক্ষণ পর আপনাআপনি ব্রণ মিলয়ে যাবে। এছাড়া ঘরোয়া উপায়ে দাঁত সাদা করতে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসা। কলার খোসার ভিতরের দিকটা দাঁতে কিছুক্ষণ ঘষলে দেখবেন কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার দাঁতের রং বদলে যাবে। এমনকি রোজ দাঁত মাজার সময় যদি কলার খোসা ব্যবহার করেন তবে তা আপনার দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্যও ভাল।
[লেবুর এইসব উপকারিতার কথা আগে জানতেন?]
হাতের সামনে শু পলিশ নেই অথচ চকচকে করে তুলতে হবে জুতো? শু পলিশের পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসা। প্রথমে জুতোয় ময়লা লেগে থাকলে তা পরিষ্কার করে নিন। এরপর কলার খোসার ভেতরের অংশটা দিয়ে জুতোর উপরে অন্তত দু থেকে তিন মিনিট ঘষুন। তারপর একটা পাতলা কাপড় দিয়ে জুতোজোড়া ভাল করে মুছে নিলেই কাজ শেষ।
মশা বা পোকামাকড়ের কামড়ের ফলে ত্বকে এক ধরনে জ্বালা বা চুলকানি হয়। এই জ্বালা বা চুলকানি থেকে তাত্ক্ষণিক মুক্তি পেতে কলার খোসার ভিতরের দিকটা ওই জায়গায় ঘষুন। দেখবেন কিছুক্ষণ পরেই জ্বালা বা চুলকানি উধাও। অনেকেই আবার শরীরে অতিরিক্ত আঁচিল নিয়ে বিব্রত থাকেন। কলার খোসা এই আঁচিল দূর করতেও সাহায্য করে। কলার খোসার ভেতরের অংশ আঁচিলের ওপর ঘষবেন। নিয়মিত এই কাজ করলে আঁচিল শুকিয়ে যায় বলে জানাচ্ছেন বিশেজ্ঞরা। তবে ৭ দিনের মধ্যে এই ঘরোয়া পদ্ধতিতে কাজ না হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
[অসহ্য কাঁধের যন্ত্রণায় হাত নড়াতে কষ্ট, ফ্রোজেন শোল্ডার নয়তো?]
The post কলা খেয়ে খোসা ফেলে দেন? এগুলো জানেন কি? appeared first on Sangbad Pratidin.