সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কখনও থমকে গিয়েছেন যৌনসংগমের মাঝপথে? পুরো স্ট্যাচুর মতো! হৃদস্পন্দন থেমে গেল বলে মনে হয়েছে কখনও? মৃত্যুর আগের মুহূর্ত হিসাবে অনুভূত হয়েছে? হাসির খোরাক হবেন বলে হয়েতো স্বীকার করতে পারেননি। কিন্তু মিলনের চরম মুহূর্তে আকছার ঘটছে এই ঘটনা। শিকার চল্লিশ থেকে ষাটোর্ধ্বরা। চিকিৎসকরা একে বলছেন ‘সাডেন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’। না, ‘হার্ট অ্যাটাক’-এর সঙ্গে গুলিয়ে ফেলবেন না। হৃৎপিণ্ডের স্বাভাবিক রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেলে হার্ট অ্যাটাক হয়। অন্যদিকে সাডেন কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে হৃদস্পন্দন সম্পূর্ণ থেমে যায়।
[নর্তকীর অশালীন ভঙ্গিতে মজে টাকার বৃষ্টি পুলিশকর্মীর, তদন্তে সাসপেন্ড]
সম্প্রতি এই নিয়েই একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে ইউরোপিয়ান সোসাইটি অফ কার্ডিওলজি কংগ্রেস ২০১৭-এ। বিশ্বের প্রায় ৮৪ শতাংশ মানুষ সাডেন কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের বলি। যৌনসংগমের ক্ষেত্রে এর প্রবণতা অনেকটাই। বিশেষত তাঁদের, যাঁরা ইতিমধ্যেই শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগের শিকার। অধিকাংশের বয়স ৪০ থেকে ৫০-এর মধ্যে। সংগমকালে ঘটায় অধিকাংশ সময়ই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া অস্বস্তিকর হয়েছে। তাই চিকিৎসা শুরুর আগেই তাঁরা মারা যান। সঙ্গমের চূড়ান্ত মুহূর্তে সাডেন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে এবং যথাযথ চিকিৎসায় বেঁচে গিয়েছেন- নারী ও পুরুষ সব মিলিয়ে গোটা বিশ্বে এই ঘটনার উদাহরণ মাত্র ১২ শতাংশ।
[রেজিস্ট্রি বিয়ে বাতিল করে অন্য যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক, তরুণীর রহস্যমৃত্যু]
কিন্তু কেন মিলনের সময় এমনটা হয়? গবেষকরা জানাচ্ছেন, সংগমের সময় সঙ্গীর হৃদস্পন্দন থেমে গেলেও মিলনের আনন্দে মত্ত থাকায় অন্যজন বুঝতে পারেন না। বুঝলেও খানিক কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। তাই সিপিআর ঘটে না। সিপিআর (কার্ডিও পালমোনারি রেসাসিটেশন) হল সেই পদ্ধতি যাতে হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের স্বাভাবিক কার্যকলাপ বন্ধ হলে কৃত্রিমভাবে তা চালু রাখার চেষ্টা করা হয়। ফলে সাডেন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়া সঙ্গীটি হৃৎপিণ্ড সক্রিয় রাখার প্রয়োজনীয় রসদ পান না। রণাঙ্গন ছেড়ে অচিরেই চলে যেতে হয় তাঁকে। তবে আগে এরকম কিছু হলে সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেন। কথা বলুন আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে। সঙ্গী বা সঙ্গিনীকেও জানিয়ে রাখুন বিষয়টি। যাতে বিপদের সময়ে তিনি ঘাবড়ে না যান।
[টাকা দিলেই তারাপীঠ শ্মশানে মিলছে মড়ার খুলি]
The post মিলনের সময় হঠাৎই থামতে পারে হৃদস্পন্দন! মত বিশেষজ্ঞদের appeared first on Sangbad Pratidin.